বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন এক প্রধান শিক্ষক।

তিনদিনে বিদ্যালয়ের তিনটি কড়ইগাছ ও একটি সুপারি গাছ কোন প্রকার প্রক্রিয়া ছাড়াই বিক্রি করেছেন তিনি।

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কায়ছারুল আলমের দাবি সহকারী শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধলক্ষ টাকার ৪টি গাছ বিনা টেন্ডারে কেটে নিয়ে গেছে স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। গাছের গুঁড়ি ও কাটা গাছগুলো বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

সরকারি স্কুলের গাছ নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়া কীভাবে কেটে নিয়েছে এই নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কায়ছারুল আলম গাছ বিক্রি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের পাশের বাড়ির আব্দুল খালেকের ছেলে মামুন ভূইয়া স্কুলের সিমানা সংলগ্ন গাছগুলো লাগিয়েছিলেন। তাই মামুন গাছগুলো কেটে নিতে চাইলে আমি সহকারী শিক্ষা অফিসার হায়াতুন্নবীর স্যারের অনুমতি নিয়ে গাছগুলো কেটে নিতে বলি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মামুন বলেন, জায়গা আমাদের গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছি। তাই আমাদের গাছ আমরা কেটে নিয়েছি।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ হায়াতুন্নবী বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেছেন গাছগুলো মামুন নামের এক লোক লাগিয়েছেন। তারা গাছগুলো কেটে নিতে চাচ্ছে। তারা যেহেতু গাছগুলো লাগিয়েছে তাই আমি অনুমতি দিয়েছি কেটে নিয়ে যেতে। স্কুলের সিমানা নির্ধারণ করার পর বুঝা যাবে গাছের মালিক কে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি তিনদিন ছুটিতেছিলাম তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, সরকারি জমি থেকে গাছ কেটে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ