উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এখানে যারা সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি আছে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। যারা সহিংসতা সৃষ্টি করছে তারা দুষ্কৃতকারী। তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে খবরাখবর নিবেন বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার দিঘীনালা উপজেলায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, সরকারের কাছে অনেক অভিযোগ আছে এবং পাহাড়ে চাঁদাবাজি চলছে বলে জানা গেছে। যারা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ আইনি কাঠামোর আওতায় ব্যবস্থা নিবেন বলে এই কামনা করেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সাজেকে এসে টু্রিস্টরা আটকে যাচ্ছেন তা কারও জন্য সুখকর নয়। কারণ পর্যটকরা পার্বত্য এলাকার না, এ ধরণের সহিংসতা বন্ধ না হলে পার্বত্য এলাকায় আগত ট্যুরিস্টরা বিকল্প পথ চিন্তা করতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, পর্যটকরা যাতে পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণ করতে পারেন এ বিষয়ে ঢাকায় ফিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা, সাবেক চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
ইএইচ