ইসলামপুরে যমুনার চরাঞ্চলে ভয়াবহ নদীভাঙন

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
ইসলামপুরে যমুনার চরাঞ্চলে ভয়াবহ নদীভাঙন

জামালপুরে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা শুরু হয়েছে। এতে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে অসংখ্য ফসলি জমি এবং আকস্মিক নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে শতশত বসতভিটা।

জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢল ও গত এক সপ্তাহের ভারি বর্ষণে যমুনার পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে ডুবে যাচ্ছে যমুনার বিভিন্ন চরাঞ্চলের অসংখ্য ফসলি জমি। সেই সাথে যমুনার একটি শাখা নদীর তীব্র ভাঙনে আবারো যমুনা গর্ভে বিলীন হচ্ছে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি, শিশুয়া, চরশিশুয়া, কাশারীডোবা, মন্ডলপাড়া, আকন্দপাড়া ও চেঙ্গানিয়া গ্রামের দুই শতাধিক বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের শতশত একর ফসলি জমি।

উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নে যমুনার একটি শাখা নদীর দুই তীরেই নদীভাঙন চলছে। এই আকস্মিক ভাঙনের মুখে বসতভিটা অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন কাশারীডোবা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী, বাদশা আলম, লাল মিয়া, কাইজার আলী, জোনাব আলী, ডাবু বেপারী, সাদু বেপারী, তারাজল, মোজাম্মেল, হযরত আলী, আনোয়ার মন্ডল, নুর মোহাম্মদ, ফইজদ্দীন, নুরল ইসলাম গসাল, শিরিন মন্ডল ও সোজাম্মেল সেকসহ অন্তত ৫০টি পরিবার।

কাশারীডোবা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম জানান, এবছরের বন্যায় আমরা ৪টি পরিবারের মানুষ নদীগর্ভে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে মহাবিপাকে পড়েছি। নিজেদের জমি সবই নদী গিলে খেয়েছে। আর কোথায় নিজস্ব জমি নেই। কেউ বাড়ি করার জায়গাও দেয় না। এখন কোথায় যাবো, কি করবে, এ নিয়ে দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি।

এ ব্যাপারে কাশারীডোবা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী জানান, যমুনা চরাঞ্চলে ভরা ফসলি মৌসুমে আকস্মিক বন্যা শুরু হয়েছে। এতে আমার দুইবিঘা জমির হাইব্রিট মরিচ ক্ষেত, এক বিঘা জমির কলা বাগান ও পাঁচ বিঘা জমির রোপা আমন ক্ষেত প্রতিদিনের অব্যাহত ভাঙনে ক্রমেই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। যমুনায় অসময়ের এই ভয়াবহ বন্যার পানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।

ইএইচ