রাজশাহীর দুর্গাপুর অসুস্থতা আর্থিক অসচ্ছলতায় মোছা. ঝরনা বেগম নিজে বিষপানের পড়ে মেয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগী সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া সানজিদা খাতুন পান করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ অক্টোবর মৃত্যু ঘটে মেয়ের ১৪ অক্টোবর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দুঃখিনী মা।
গত ১২ অক্টোবর হৃদয়বিদারক বিষপানের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার দেলওয়ারি ইউপির বখতিয়ারপুর গ্রামে। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গত শনিবার রাতে মা ঝরনা বেগম ঘাস পোড়ানো বিষপানের পড়ে মেয়ে সানজিদা খাতুনকে দুধের সাথে ঔষধ মিশ্রিত রয়েছে এই বলে বিষপান করায়। পাশের ঘর থেকে বাবা টের পেয়ে তাদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
জানাযায়, ভ্যানচালক পিতা মো. আসাদুল ইসলাম অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে জীবনযাপন করছিলেন, লিভার রোগে আক্রান্ত স্ত্রী ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত কন্যা সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ তুলে তা পরিশোধ করতে পারেনি।
এদিকে অনেক চিকিৎসা করার পরেও কারোই সুস্থতা আসেনি মেয়েকে প্রতিমাসে ৩ ব্যাগ রক্ত দিতে হতো। অর্থনৈতিক দুরবস্থা শারীরিক অসুস্থতায় বিষণ্ন হয়ে এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটিয়েছেন মা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এবিষয়ে দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ( ওসি) দুরুল হুদা জানান, গত ১২ তারিখে মা ও মেয়ের বিষপানের ঘটনা ঘটে। উভয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১৩ তারিখে মেয়ে সানজিদা খাতুনের মৃত্যু ঘটনায় একটি ( ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ ১৪ অক্টোবর মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক(ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হবে।
আরএস