নেত্রকোণায় বন্যা, ৫ শত ৭১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নেত্রকোণা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ১২:০৭ পিএম
নেত্রকোণায় বন্যা, ৫ শত ৭১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

গত এক সপ্তাহের ভারি বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় নেত্রকোণায় আনুমানিক ৫ শত ৭১ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান জানান, গত এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভারতীয় সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা, নেত্রকোণা সদর ও বারহাট্টা উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নে ফসল ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, অতি ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় নেত্রকোণা জেলার ৫ উপজেলায় ২৪ হাজার ৬ শত ৬৭ হেক্টর জমির রোপা আমন এবং ১ শত ৭৭ হেক্টর জমির শাক সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৩ শত ১৩ কোটি টাকা।

নেত্রকোণা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এল জি ই ডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম জানান, এলজিইডির আওতাধীন ৫ হাজার ৯ শত ৫৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১ হাজার ৬ শত ৩৮ কিলোমিটার পিচ ঢালা সড়ক। বাকী গুলো সিসি, আরসিসি, মেকাডম, কার্পেটিং ও কাঁচা সড়ক। সাম্প্রতিক বন্যায় নেত্রকোণা ২ শত কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আনুমানিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ শত ৫০ কোটি টাকা।

নেত্রকোণা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহ্জাহান কবীর জানান, বন্যায় ১ হাজার ৭ শত ৩০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। যার আর্থিক মূল্য আনুমানিক ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমার সংবাদকে জানান, আমি সমন্বয় সভায় সব বিভাগকে সরেজমিনে গিয়ে বন্যায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিরোপনের নির্দেশ দিয়েছি। প্রকৃত চিত্র হাতে আসলে আমরা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও মৎস্য চাষীদের পুনর্বাসন করবো এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দ্রুত মেরামত করে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলের উপযোগী করবো। তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অর্থের বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হবে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে।

বিআরইউ