মিয়ানমারে রাতভর গোলাগুলি, ফের টেকনাফে আতঙ্ক

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
মিয়ানমারে রাতভর গোলাগুলি, ফের টেকনাফে আতঙ্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষ আবারও শুরু হয়েছে।

কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল গোলার বিকট শব্দ। এতে করে এপারের সীমান্ত ঘেঁষা বসবাসকারীদের মাঝে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, সীমান্তে আগের তুলনায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা অনেকটা কমেছে। তবে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ার কারণে বড় বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা রোহিঙ্গাদের আমরা প্রতিহত করছি।

সীমান্তের লোকজন জানান, মিয়ানমারের মংডু টাউনশীপের বিপরীতে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাং এর পূর্বে নাফনদীর ওপারে মংডু শহরের অবস্থান। মংডু শহরের নাফনদী দিয়ে প্রবেশপথ খায়েনখালী খালটি। ওই খালের মোহনায় রোহিঙ্গারা জড়ো হওয়ার খবর রয়েছে। ওই সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীরা বিদ্রোহী আরাকান আর্মির দখলে থাকা এলাকা উদ্ধারের জন্য এমন গোলাগুলি করছে বলে সীমান্ত এলাকার লোকজন মনে করছেন।

স্থানীয় জানান, মিয়ানমারে এখনও সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এরমধ্যে রাখাইনের বুথেডংয়ে আড়াই লাখ, মংডুতে তিন লাখ এবং বাকিরা আকিয়াবসহ অন্য টাউনে রয়েছে। বর্তমানে মংডুতে হামলা হচ্ছে, সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিকের বসবাস। তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশের টেকনাফে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন এদিকে খারাংখালী, টেকনাফ, পৌরসভা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনায় সীমান্ত থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বড় বড় শব্দ। সীমান্তের লোকজন বলছে, দীর্ঘদিন বন্ধের পরে আবার বড় ধরনের মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। জালিয়া পাড়ার মো. হোছন বলেন, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল রাতভর ওপারের গোলার বিকট শব্দ শোনা গেছে। সাবরাং নয়াপাড়া সুলতান আহমদ বলেন, গোলার শব্দে অনেকের ঘরের বাইরে রাত কেটেছে। একটু পরপরই গোলার শব্দে সীমান্ত কেঁপে ওঠে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।

ইএইচ