ছাত্রদল নেতার তত্ত্বাবধানে চোখে গুলিবিদ্ধ রোহানের চিকিৎসা চলছে

মাগুরা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
ছাত্রদল নেতার তত্ত্বাবধানে চোখে গুলিবিদ্ধ রোহানের চিকিৎসা চলছে

অবশেষে ছাত্রদল নেতা কাজী সাইমুমের তত্ত্বাবধানে মাগুরা জেলায় গুলিবিদ্ধ রোহান মোল্লার চোখের চিকিৎসা চলছে বাংলাদেশ আই হসপিটালে।

স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিবেন, আর সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত ও করেছিলেন রোহান মোল্লা (১৯)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট মাগুরা জেলা পারনান্দয়ালী ব্রিজের উপর থেকে পুলিশের ছোড়া ছররাগুলি লাগে রোহান মোল্লার দুই চোখে।

রোহান মোল্লা শ্রীপুর উপজেলার বারই পাড়া গ্রামের মাজেদুলের ছেলে সে খামার পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ শ্রেণির ছাত্র। ৪ আগস্ট সহপাঠীদের সাথে মাগুরা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করে রোহান।

সে সময় মাগুরা-ঢাকা রোডে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের কয়েক শত নেতাকর্মীদের সাথে জেলা পুলিশ সংযুক্ত হয়ে- পারনান্দয়ালী ব্রিজের উপরে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের সাথে সংযুক্ত থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে একাধিক ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ঘটনা ঘটে।

এর একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের বন্দুকধারীরা গুলি চালালে পারনান্দয়ালী বরুনাতৈল এলাকার বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা রাব্বিসহ নাকোল গ্রামের আরও এক জন নিহত হয় এবং পুলিশের ছোড়া ছররাগুলি লাগে রোহান মোল্লার দুই চোখে।

রোহান রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে গেলে তার সহপাঠীরা প্রথমে মাগুরা জেলার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইওএইচ) ভর্তি করা হলেও সেখানেই তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি।

পরে লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে রেফার করা হলে রোহানের ১ চোখের ১টি গুলি বের করা সম্ভব হয়। অপর চোখের গুলিটি চোখের মনির খুব কাছাকাছি থাকায় বের করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে রোহানের পরিবার আশা ছেড়ে দিয়ে মাগুরা জেলায় নিজ বাড়িতে চলে আসে। কয়েকদিনের মধ্যেই চোখের আলো ক্রমেই কমতে থাকে অন্ধত্ব হওয়ার পর্যায়ে চলে যায়।

একপর্যায়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ- সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কাজী সাইমুম চিকিৎসা বঞ্চিত রোহান মোল্লার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং তাকে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দেন। তার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তার নির্দেশে ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ আই হসপিটালে ডা. সৈয়দ মাহবুল-উল কাদির এমবিবিএস এমএস রোহানের চোখের সর্বশেষ গুলিটি বের করে দেন।

আহত রোহানের চিকিৎসা জনিত সময় পাশে থাকা ছাত্রদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার কাজী সাইমুম জানান, ১৮ অক্টোবর সকালে রোহানের চোখের ব্যান্ডেজ খোলা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে রোহান মোল্লা আগের মত স্বাভাবিক অবস্থায় চোখে সব কিছু দেখতে পাবে।

ইএইচ