ঝিনাইদহে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এক পলাতক আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম
ঝিনাইদহে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এক পলাতক আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

বিশেষ অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এক পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬।  শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, র‌্যাব-৬ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১ জন পলাতক আসামি উপজেলার খালিশপুর এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই করে খালিশপুর বাজার এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নজরুল ইসলাম নজু (৩৯) নামে এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি কে গ্রেপ্তার করে। নজরুল ইসলাম একই উপজেলার ভালাইপুর খা পাড়া গ্রামের অমিদুল মন্ডল ছেলে।  

উল্লেখ, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মহেশপুর থানাধীন ১নং এসবিকে ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম এর বাড়িতে অজ্ঞাতনামা চোরেরা গরু চুরির উদ্দেশ্যে গিয়ে তৌহিদুল ইসলামকে আহত করে পালিয়ে যায়। এছাড়া একই রাতে তার প্রতিবেশী সুমন খান এর বাড়ি হতে দুইটি গরু চুরি হয়। উক্ত চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামীরা বাদীর স্বামী, ভিকটিম রাশেদ শেখ (৩৮), পিতা-মিঠু শেখ ও ভিকটিমের চাচা মো. বজলুর রহমান এবং ভিকটিমের ছোট ভাই মো. রাজদুল ইসলাম শেখ দেরকে চোর সাব্যস্ত করে খুঁজতে থাকে। 

উক্ত তারিখ সকালে ভিকটিম বাড়ি হতে মটর সাইকেল যোগে খালিশপুর বাজারে যাওয়ার সময় মহেশপুর থানাধীন এসবিকে ইউনিয়নে ভালাইপুর গ্রামের রাহাতুল্লাহ সর্দার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইটের সলিং রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্রই আসামিগণ একত্রিত হয়ে ভিকটিমের গাড়ি থামিয়ে মারার চেষ্টা করলে ভিকটিম ভয়ে দৌড়ে ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গেলে আসামীরা সেখানে গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ঘুসি, লাথি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। ভিকটিমের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে এবং বাড়ি থেকে ভিকটিমের চাচা ও ছোট ভাইকে মারতে মারতে ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। আসামিগণ ভিকটিম ও ভিকটিমের চাচা এবং ছোট ভাইকে কাঠের বাটাম দিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে রাশেদ শেখ ও তার চাচা এবং ছোট ভাইকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদ শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় মোছা. চুমকি বেগম বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় ২১ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫জন আসামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এরপর ঘটনার বিষয়ে র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরএস