নীলফামারীতে মাদরাসার মুহতামিমকে নিয়ে ষড়যন্ত্র

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
নীলফামারীতে মাদরাসার মুহতামিমকে নিয়ে ষড়যন্ত্র

নীলফামারী দারোয়ানি আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিমকে নিয়ে চলছে শিক্ষকদের মধ্যে মনোক্ষুণ্ণ। মাদরাসার তিন শিক্ষক ওই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেন মুহতামিম মাওলানা আমিনুল্লাহ।

এ ব্যাপারে তিনি নির্বাহী কর্মকর্তা নীলফামারী সদর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

মুহতামিম আমিনুল্লাহ জানান, ৪২ বছর থেকে ওই মাদরাসায় মুহতামিম হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি তিলতিল করে মাদরাসাটিকে একটি বিশাল আকারে পরিণত করেছেন।

বর্তমানে মাদরাসায় প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। কওমি এ মাদরাসাটি মাস্টার্স সমমান। মাদরাসায় রয়েছে একটি দক্ষ ম্যানেজিং কমিটি। পদাধিকার বলে তিনি কমিটির সদস্য সচিব।

হঠাৎ করে মাদরাসার তিনজন শিক্ষক খাবারের মানসহ কয়েকটি দাবি তুলেন। এক পর্যায় ওই দাবির সমাধান হলে পরে তারা মুহতামিমকে মাদরাসা থেকে চলে যেতে বলেন। তাদের চাপের মুখে পড়ে তিনি লিখিত একটি কাগজ শিক্ষকদের হাতে দিয়ে মাদরাসা থেকে বের হয়ে যান।

তারপর থেকে তাকে আর মাদরাসায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়। তবে মুহতামিম না থাকায় মাদরাসার লেখাপড়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে এমন কথা জানান কয়েকজন শিক্ষার্থী।

শিক্ষক মুফতি ঈমামুল ইসলাম, মাওলানা আতাউল্লাহ পাহাড়ি ও মাওলানা ছাদেকুল ইসলাম বলেন, মাদরাসায় খাবারের মান একবারে খারাপ থাকার কারণে সকল ছাত্র তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেন।

জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক বলেন,  অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ