বাগেরহাটের রামপালের কিসমত ঝনঝনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারাবর গণস্বাক্ষরযুক্ত অভিযোগ দিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কিসমত ঝনঝনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা খাতুন ২০১৮ সালে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে তিনি বিদ্যালয়ের ৩টি শিরিশ গাছ কেটে তার বাড়িতে নিয়ে যান। ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ ২ লক্ষ টাকায় টিনসেড ঘর করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা পকেটে পুরেন। ৩ বছরের রুটিন মেইন্টেনেসের ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ভুয়া বিল ভাউচার করে তা শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে প্রায় সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতি বছরের স্লিপের ৫০ হাজার টাকা তুলে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। প্রাক প্রাথমিকের শিশুদের বিভিন্ন উপকরণ বাবদ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে নাম মাত্র সামান্য কিছু উপকরণ কিনে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতি ৬ মাস অন্তর বরাদ্দকৃত কন্টিজেন্সির সব টাকা তুলে তা বাড়িতে নিয়ে যান।
এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি বিগত আওয়ামী লীগের আমলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এমনভাবে ভীতির পরিবেশে সৃষ্টি করেন যে, তার ভয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসী ভয়ে চুপ থেকেছে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা খাতুন বলেন, কিছু অসংগতি আছে। আমার কিছুটা ভুল হয়েছে। তবে আমি বড় ধরনের কোন অনিয়ম করিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগের কপি পেয়েছি। ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জামা দেওয়ার কথা রয়েছে। তদন্তে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইএইচ