ফুলছড়িতে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির তদন্ত শুরু

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৮:৪০ পিএম
ফুলছড়িতে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির তদন্ত শুরু

ফুলছড়ি উপজেলা সৈয়দপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাকিব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং গাইবান্ধা-৫ আসনের সাবেক এমপি মাহমুদ হাসান রিপনের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়- বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন নিলামে না দিয়ে সরকারি বিধিনিষেধ না মেনে নিজ মর্জি মাফিক ভেঙে পুরাতন ইট রড বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন নির্মাণের নিমিত্তে গাছ কেটে নিজ বাড়িতে আসবাবপত্র তৈরি করেছে, বাউন্ডারি ওয়াল ইট বিক্রি ওরে ও টাকা সরকারি কোষাগারে জমা বা স্কুলের ফান্ডে টাকা জমা না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন, অভিযোগ উঠেছে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগেও নিয়োগ বাণিজ্য ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঘুষ নিয়ে নিয়োগ প্রদান করেছে, স্কুল নির্মাণের কথা বলে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে স্কুলের মাঠে জমাট করে রাতের আঁধারে সেসব বালু বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

এসব তথ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্যরা লিখিতভাবে তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করে।

রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি সৈয়দপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের উদ্দেশ্যে স্কুল পরিদর্শন করে সত্যটা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেছে।

তদন্তের অংশ হিসেবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক সদস্যদের কাছ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রাকিব উদ্দিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। প্রধান শিক্ষক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সম্পূর্ণ সত্য নয় আংশিক সত্যতা আছে বলেও তদন্ত কমিটির কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিন্টু মিয়া, মো. মিজানুর রহমান ইন্সটাক্টর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, মো. নূরে আলম সিদ্দিকী উপজেলা অ্যাকাডেমিক অফিসার।

অভিযোগ তদন্ত শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিন্টু মিয়া জানান- বিষয়টি গভীরভাবে বিশ্লেষণ তদন্ত করে পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরাবর প্রদান করবেন পরবর্তী পদক্ষেপ নির্বাহী কর্মকর্তা বিধি বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ইএইচ