চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জে শিলা খাতুন (২৩) নামে এক তরুণীকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যার পর রেললাইনে ফেলে গেছে।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ রেল স্টেশনের কাছে রেললাইনের উপর তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।
নিহত শিলা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের বাসিন্দা রাসেলের স্ত্রী এবং নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। তার ১৪ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই তার স্বামী রাসেল পলাতক রয়েছেন।
শিলার বড় ভাই জুয়েল রানা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শিলা ও তার স্বামীর মধ্যে কলহ চলছিল। রাসেল তাকে জানিয়েছিল, কাবিননামার টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত ডিভোর্স দেবে না। অপরদিকে, শিলা জানিয়েছিল তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নিয়মিত নির্যাতন করতো। সে চাইছিল, পরিবারের মাধ্যমে যেন ডিভোর্স দেওয়া হয়, যাতে রাসেলের কোনো অর্থ না লাগে।
তিনি আরও জানান, সোমবার ভোর ৪টার দিকে রাসেল তাকে ফোন করে জানায়, শিলাকে পাওয়া যাচ্ছে না এবং সে কোথাও চলে গেছে। পরে সকালে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে রেললাইনের উপর ভিড় দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে শিলার মরদেহ দেখতে পান। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারের দাবি, শিলাকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে গেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
নিহতের মা আফিরন নেছা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রেখেছে। আমি এর প্রতিশোধ চাই।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবল কুমার বলেন, শিলার ভাই জানিয়েছেন যে, রাতে শ্বশুরবাড়িতে কোনো বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। এরপর থেকে শিলাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে রেললাইনের উপর তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা জানান, মরদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইএইচ