আলমডাঙ্গায় গৃহবধূকে হত্যা: বিচারের দাবি পরিবারের

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
আলমডাঙ্গায় গৃহবধূকে হত্যা: বিচারের দাবি পরিবারের

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সীগঞ্জ রোয়াকুলীতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন গৃহবধূ শিলা খাতুন (২৩)।

একদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নিহতের স্বামী রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন, যা নিয়ে শিলার পরিবার গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কায় রয়েছেন।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ রেল স্টেশনের অদূরে রেললাইনের ওপর শিলার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানায়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। শিলার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই তাকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

শিলা আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের বাসিন্দা রাসেলের স্ত্রী এবং একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। তার একটি ১৪ মাসের শিশুসন্তান রয়েছে।

নিহতের বড় ভাই জুয়েল রানা জানান, শিলার সংসারে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। শিলার স্বামী রাসেল তাকে জানিয়েছিল, ডিভোর্সের আগে কাবিননামার টাকা পরিশোধ করতে হবে, তাই এখনই ডিভোর্স দেবে না। অপরদিকে শিলা তার পরিবারকে জানিয়েছিল, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নিয়মিত নির্যাতন করতো। শিলা চাইছিল যেন পরিবারের পক্ষ থেকে ডিভোর্স দেওয়া হয় যাতে রাসেলকে কোনো টাকা দিতে না হয়।

জুয়েল রানা আরও বলেন, সোমবার ভোররাতে রাসেল আমাকে ফোন করে জানায় যে, শিলা নিখোঁজ হয়েছে। সকালে শ্বশুরবাড়ির পথে রেললাইনের কাছে মানুষের ভিড় দেখে সেখানে যাই এবং দেখি আমার বোনের মরদেহ রেললাইনে পড়ে আছে। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। আমার বোনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

পোড়াদহ রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, গতকাল সকালে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে, এঘটনায় রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি  মামলা দায়ের করা হয়েছে, আসামিদের ধরতে রেলওয়ে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

ওদিকে হত্যাকাণ্ডের একদিন পার হলেও অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবারের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় শিলার পরিবার বিচার না পাওয়ার শঙ্কায় ভুগছে। পরিবার ও এলাকাবাসী এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন

ইএইচ