জয়পুরহাটের কালাইয়ে প্রায় ৫১.৫ বিঘা জমিতে ভেজাল ধান বীজ রোপণ করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
প্রতারিত হয়ে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে কৃষি অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন কৃষকের পক্ষে নুর মোহাম্মদ নামে এক কৃষক।
আশিক বীজ ভাণ্ডার থেকে নয়ন সীড সুগন্ধী হাইব্রিড জাতের ধান বীজ নিয়ে প্রতারিত হয়েছেন তিনি। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
ভালো ফলনের আশায় আশিক বীজ ভাণ্ডার থেকে নয়ন সীডের সুগন্ধি হাইব্রিড জাতের ধান বীজ ক্রয় করেন কালাই উপজেলার মুড়াইল গ্রামের কয়েকজন কৃষক। জমিতে ধান রোপণ করে পরিচর্যা করতে থাকেন তারা। ধানের কুশিতে ভিন্নতা খুঁজে পায় কৃষকরা।
এমতাবস্থায় কালাই কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে সরেজমিনে জমি পরিদর্শন করে ভেজাল বীজের কারণ হিসেবে নির্ণয় করেন কৃষি বিভাগ।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নুর মোহাম্মদ, মাহফুজ, একরাম, বকুল বলেন, নিশিন্তা বাজারের আশিক বীজ ভাণ্ডার থেকে ৬০ প্যাকেট নয়ন সীডের সুগন্ধি হাইব্রিড ধান বীজ ক্রয় করেছি। তিনি অতি লাভের আশায় ভেজাল বীজ দিয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। আমরা ক্ষতিপূরণ সহ তার লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
বীজ ডিলার আব্দুল আলীম বলেন, বীজ আমি তৈরি করি না, এটা কোম্পানি থেকে আসে। এসব বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষকসহ আমাকে ডেকেছেন। কৃষি অফিসারের সাথে বসেছিলাম। দুপক্ষ মিলে সমস্যার সমাধান করবো।
কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় জানান, উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের কৃষকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় যে, নয়ন সীড সুগন্ধি হাইব্রিড জাতের ধান প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়েছে কিন্তু ভেজাল বীজের কারণে ফলনে বিপর্যয় দেখা যায়। একই গোছার ভিন্ন ভিন্ন কুশিতে ধানের ভিন্ন ভিন্ন স্টেজ লক্ষ্য করা যায়। এমতাবস্থায় ভেজাল সুগন্ধি হাইব্রিড জাতের ধানবীজের কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইএইচ