আ`লীগ আমলে এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন হয়েছে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে অনেক নেতাকর্মী ধান ক্ষেতে ঘুমিয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে রিকশা চালিয়ে দিন পার করতে হয়েছে। যারা এ এলাকায় আ`লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা ছিলেন সম্পূর্ণ উন্মাদ। তারা সুস্থ মানুষ ছিলেন না।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে লাকসাম উপজেলা, পৌরসভা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্যাতনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আপনারা সাংগঠনিক কাজ করতে পারেননি। এখন সময় এসেছে সংগঠনকে শক্তিশালী করার। জনগণের মন জয় করে ভোট আদায় করতে হবে। সামনে কঠিন ভোটের পরীক্ষা দিতে হবে। এখন মানুষ খুবই সচেতন। তারা ভালো-মন্দ বোঝেন, দেখে-শুনেই ভোট দেবেন। জোর-জবরদস্তি চলবে না। তারেক রহমানের নির্দেশ আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবো। আজ থেকে আমরা সংগঠন গোছানোর কাজ করবো।
হাজী ইয়াছিন বলেন, পাঁচ তারিখের পর একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এখন সুষ্ঠুভাবে যাতে একটা ভোট দিতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ যাতে আমাদের ভোট দেয় সেজন্য জনগণের হৃদয় জয় করতে হবে। আমাদের প্রচুর নেতা আছে, আর নেতা দরকার নেই। কিন্তু আমাদের ভোটার লাগবে।
তিনি বলেন, এ দিন দিন না আরো দিন আছে। আপনারা যদি ধৈর্য হারা হন তাহলে আপনাদেরও কপালে শনি আছে। আমরা অন্যায় করবো না, করতে উৎসাহিত করবো না।
এ সময় কেউ যদি বিএনপির নাম নিয়ে অপকর্ম করে, তাদেরকে পিছমোড়া বেঁধে জেলে ঢুকানোর জন্য ইউএনও-ওসিদের প্রতি আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালামের সভাপতিত্বে `স্বৈরাচার বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বর্তমানে করণীয়` শীর্ষক প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী ও তাদের দোসররা বিএনপি নেতা-কর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে, কারখানা চালাতে দেয়নি। আয়না ঘরে নিয়ে নির্যাতন করেছে। আমরা ফ্যাসিবাদী আ`লীগ ও তাদের দোসরদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
লাকসাম পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আক্কাস, মোস্তফা জামান, আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, রেজাউল কাইয়ুম, লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ মজির আহমদ, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রহমান বাদল, পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হাসেম মানু, জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নূর উল্লাহ রায়হান, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ সুলতান খোকন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার জাহান দোলন, লাকসাম উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ নুরুন্নবী চৌধুরী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মামুন।
আরও বক্তব্য রাখেন, লাকসাম উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ নুর হোসেন, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হোসেন মিলন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আলী মর্তুজা, লাকসাম উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন মুশু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক টিআর হারুন, লাকসাম উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ফারুক, পৌরসভার যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মানিক, মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রহমত উল্লাহ জিকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বাহার মজুমদার, লাকসাম পৌরসভার যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মনু, সদস্য সচিব এমআর চৌধুরী মিল্টন, কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বেলাল, মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ চৌধুরী।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন ও শাহ আলমের পরিচালনায় সভায় লাকসাম উপজেলা, পৌরসভা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরএস