ফেনীতে ছাত্রদলের দুগ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে জেলার সোনাগাজী পৌর শহরের মেইন রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা মিরাজ ও রায়হানকে মারধরের ঘটনায় বুধবার থানায় মামলা করে তাদের পরিবার। ওই মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন পিয়াস ও তার কয়েকজন অনুসারীকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় এদিন সন্ধ্যার দিকে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সোহাগ নুরের নেতৃত্বে স্থানীয় পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা ছাত্রদলের একাংশ।
মিছিলটি পৌর এলাকার পশ্চিম বাজারে পৌঁছালে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলম সমর্থিত ছাত্রদল-যুবদলের কর্মীরা হামলা চালায়।
এতে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা মিরাজ ও রায়হানের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদল নেতাদের উপর হামলা করেছে। এতে উপজেলা ছাত্রদল নেতা জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের শাহিন, কলেজ ছাত্রদলের জিহাদ ভুঞাসহ ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সোহাগ নুর বলেন, দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ মিছিল বের করে উপজেলা ছাত্রদল। শান্তিপূর্ণ মিছিলটি পশ্চিম বাজারে পৌঁছলে ছাত্রদল-যুবদলে অনুপ্রবেশকারীরা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়।
এতে ছাত্রদলের দাউদুল ইসলাম, এনায়েত উল্যাহ, আজিজুল হক, কামরুল ইসলাম, আবু ইউছুফ, রাইসুল ইসলামসহ ৪০-৪৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘ ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ইএইচ