জয়পুরহাটে সরকারি পুকুরের মাছ ছাড়াকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা হামলার আঘাতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সদর উপজেলার পশ্চিম পেঁচুলিয়া কোচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা পর একপক্ষের মামলায় ৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব।
পুলিশের প্রেস কনফেশন্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পশ্চিম পাঁচুলিয়া কোচপাড়া এলাকায় একটি সরকারি পুকুর রয়েছে। কোচপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা বিগত কয়েকবছর ধরে একটি সমিতির নামে ওই পুকুরটি ইজারা নিয়েছিল। ১৪৩০ সন পর্যন্ত তাদের ইজারা ছিল ও তারা পুকুরটি ব্যবহার করত। ওই পুকুরটি আগে পার্শ্ববর্তী জিতারপুর গ্রামের মওলা, মিস্টার, কাসেমসহ তাদের পক্ষ চাষ করতো। এই পুকুর নিয়ে আদালতে একটি মামলায় চলমান থাকায় ১৪৩১ সন থেকে কেউ ইজারা পায়নি। বর্তমানে তাদের ইজারা নেই তার পরও তাদের লোকজন নিয়ে ওই পুকুরে মাছ ছেড়ে দিতে যায়।
এ সময় রাজেন নামে একজন মাছ ছাড়তে নিষেধ করলে তাদের সাথে মারপিট ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ১০ জন ও অপর পক্ষের দুজন আহত হন।
এ সময় সেখানে থাকা দুটি খড়ের পালায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশষ্ট জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনাটি মুহূর্তেই হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষের অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, এটা কোন হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরোধ নয়। এটা একটি পুকুর নিয়ে বিরোধ। এরই জের ধরে এই মারামারি হয়েছে। তারা হাসপাতালে অনেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইএইচ