চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ৬নং ইউনিয়ন সাইসাঙ্গাঁ গ্রামে তরুণদের নিয়ে সংঘটিত হয় রাহে নাজাত ইসলামী ফাউন্ডেশন।
এ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির ক্ষুদ্র প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ক্রয়মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করছেন রাহে নাজাত ইসলামী ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি লালশাক ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, উস্তা ৪০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, কাচা মরিচ ১৪০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, তরি ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, লেবু পিছ ৮ টাকা, ডিম হালি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
রোববার বিকাল ৩টা থেকে সাইসাঙ্গাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হয়।
রাহে নাজাতের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাজারে শাকসবজিসহ নিত্যপণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি, তা কমিয়ে আনতে পাইকারি আড়ত থেকে কেনা দামে সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে, তা ভাঙতেই এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
রাহে নাজাত ইসলামী ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. সাইফুল হাসান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষকে কম দামে নিত্যপণ্য সরবরাহ করতে। সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা অন্তত আরও ৪,৫ দিন এই কার্যক্রম চলমান রাখব।
ফাউন্ডেশনের সদস্য মুনতাসির ফাহিম বলেন, বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত সাইসাঙ্গাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্যের ক্রেতারা বলেন, রাহে নাজাতের সদস্যরা খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। তারা যে দামে বিক্রি করছে তা বাজার থেকে কেজিতে অন্তত ২০ থেকে ২৫ টাকা কম। বাজার থেকে কম দামে পণ্য কিনতে প্রায় অনেকেই ভিড় করছেন স্কুল মাঠে।
মো. শাকিল নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে যে দাম, তা আসলে হিসাব করতে গেলে এখন আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর একেক জায়গায় একেক রকমের দাম। মানুষ স্বল্পমূল্যে যেখানে পাবে সেখান থেকেই বাজার করবে। প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং আরও শক্তভাবে করা। আর রাহে নাজাত ইসলামী ফাউন্ডেশনের সদস্যরা যে বাজার বসিয়েছে তা সাধারণ মানুষের খুবই কাজে আসবে।
ইএইচ