মাগুরার মহম্মদপুরে আদা চাষ করে সফল হয়েছেন মো. রিয়াজ উদ্দিন নামের এক আাদা চাষি। তিনি উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের বনগ্রামের আমানত শেখের পুত্র। মহম্মদপুরে বনগ্রামে নিজ বাড়ির পাশে আড়াই শতক জমিতে চার’শ বস্তা আদা চাষ করেছেন।
সরজমিন গিয়ে চোখে পড়ে সুন্দর পরিবেশে সারিবদ্ধ আদার গাছ বস্তার মধ্যে সবুজ রঙের সতেজ গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে। কীভাবে তিনি আদা চাষের ঝুঁকে পড়লেন।
মো. রিয়াজ উদ্দিন বগুড়াতে বেড়াতে গিয়ে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ দেখে তার মনে স্বপ্ন জাগে উন্নত মানের ফলনশীল আদা চাষের। মনের স্বপ্ন পূরণ করতে মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিসকে আদা চাষ সংক্রান্ত বিষয় জানালে তারা এই চাষের সহযোগিতা করে।
জানা গেছে, আদা উন্নত মসলার জাত মানুষের কাছে এর চাহিদাও রয়েছে অনেক।
মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প, মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বস্তা পদ্ধতিতে বারি আদা-১ চাষ করেছেন ওই চাষী।
ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের প্রথম দিকে দস্তা, ছত্রাক নাশক, ডিএপি, পটাশ, জৈব সার ছাই মিক্সড করে, আধা বস্তা পরিমাণ প্রস্তুত করে, প্রতি বস্তায় ৭০ গ্রাম আদা রোপণ করা হয়।
এ বিষয়ে আদা চাষি মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে প্রতি বস্তায় ৩০/ টাকা মত খরচ রয়েছে।আদা পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে উঠবে।
যদি ভালো হয়, তাহলে একটা বস্তা থেকে এক কেজি প্লাস আদা পাওয়া সম্ভব বলে চাষী রিয়াজ উদ্দিন নিশ্চিত করেন।
আদার চাহিদা বেশি থাকায় এবং অল্প খরচে বস্তা পদ্ধতিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেকেই আদা চাষ করেছেন।
পাঁচশত বস্তায় আদা চাষ করার প্রদর্শনী তিনি পেলেও জাগা স্বল্পতার কারণে ৪শত বস্তা দিয়ে তিনি এই প্রদর্শনী তৈরি করেছেন।
বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি দেখতে এলাকাবাসী অনেকেই শখ করে তার বাড়িতে আসেন। পরিশ্রম করলে সফলতা অর্জন করা যায় তারই এক অনন্য দৃষ্টান্ত আদা চাষী মো. রিয়াজ উদ্দিন।
বিআরইউ