বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদদের স্বজন ও আহতদের একান্ত আস্থার ঠিকানা ও শেষ ভরসার স্থল হয়ে উঠছেন রাজবাড়ীর নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
রাজবাড়ীতে জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদানের পরপরই তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের পরিবার এবং আহতদের পাশে বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের শহীদ সাগর আহমেদের কবর জেয়ারত করেন এবং তার পরিবারের সাথে দেখা করেন। এসময় শহীদ সাগরের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকার সরকারি অনুদান প্রদান করেন। পাশাপাশি তাঁর মা গোলাপী বেগম, বাবা মো. তোফাজ্জল হোসেন এবং বোনের জন্য পোশাকসহ বিভিন্ন ফলমূল উপহার দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাসিবুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বারি, সহকারী কমিশনার অংকন পাল, বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্থানীয় মনসুর আলী কলেজের শিক্ষক একে এম আসাদুজ্জামান বলেন, “এই ডিসি স্যারকে আমি অন্যদের চেয়ে আলাদাই মনে করেছি। উনার আন্তরিকতা ও জনবান্ধব কর্মকাণ্ড আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি যেন আমাদের জন্য একজন সেবক হিসাবে এসেছেন।”
শহীদ সাগরের মা গোলাপি বেগম জানান, জেলা প্রশাসক তাঁর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শহীদ সাগরের বাবা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “আমি ডিসি স্যারকে কবরস্থানে বাউন্ডারী ওয়াল করার অনুরোধ করেছি, তিনি আবেদন করতে বলেছেন এবং দ্রুত বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।”
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার এমন মানবিক কার্যক্রমে রাজবাড়ীর মানুষ তাকে একজন ব্যতিক্রমী প্রশাসক হিসাবে গণ্য করছেন। তারা আশা করছেন, তার এ ধরনের জনবান্ধব কাজ অব্যাহত থাকলে তাকে রাজবাড়ীবাসী সারাজীবন মনে রাখবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) তিনি রাজবাড়ি সদর উপজেলার খানখানাপুর নতুন বাজার এলাকায় শহিদ আব্দুল গণির বাড়িতে গিয়ে শহিদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। তাদেরকেও উপহার হিসেবে নতুন পোশাক ও বিভিন্ন ফলমূল প্রদান করেন।
এছাড়াও বুধবার, নিজের অফিসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রাজীব খান ও আমির হামজাকে ডেকে নিয়ে তাঁদের অসুস্থতার খবর নেন এবং সহায়তার আশ্বাস দেন।
বিআরইউ