‘আ.লীগের দোসর চুন্নুকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা’

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
‘আ.লীগের দোসর চুন্নুকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা’

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিশোরগঞ্জের ইতিবাচক অবদান রয়েছে। আমরা সব সময় দেশ ও মানুষের পক্ষে। কিন্তু কিশোরগঞ্জের একজন, যিনি ফ্যাসিবাদের দোসর, আওয়ামী লীগের সুবিধা ভোগী, যিনি আওয়ামী লীগের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে, তিনি হলেন মজিবুল হক চুন্নু। তিনি অবৈধ ভাবে টাকা কামিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন। দুদকের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে তার সম্পদের হিসাব নিন।

তিনি বলেন, মজিবুল হক চুন্নুর মত ফ্যাসিবাদের দোসরকে কিশোরগঞ্জের মানুষ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে। তার মতো লোককে কিশোরগঞ্জে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।

‘শুধু আওয়ামী লীগের না, তাদের দোসরদেরও বিচার হবে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর, তাদেরও বিচার হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষ তাদের রাজনীতি করতে দিবে না।’

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রাস্তা সংস্কার ও কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রোডে বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে যুব অধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত শহরের পুরান থানা ইসলামিয়া মার্কেটের সামনে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি তার বক্তব্য আরও বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব রাস্তা যেন একটা মরণফাঁদ, এখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। বিগত সরকারের সময় যে বাজেট হতো তার ৭০ শতাংশ ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাগ নিতো। ফলে রাস্তার উন্নয়নে তেমন বাজেট থাকতো না। আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে।

আবু হানিফ তার বক্তব্যে আরও বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই বাজে। ভালো কোন পরিবহণ নেই। কিন্তু যেসব পরিবহণ রয়েছে, সেগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া হওয়ার কথা ২৬০-২৭০ টাকা কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা। এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে মালিক সমিতি। এর আগে সেখানে থেকে ভাগ নিতো আওয়ামী লীগের নেতারা। আমরা শুনেছি এখন সেখান থেকে অন্য একটা দলের নেতারা চাঁদা নিচ্ছে। এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, এই রুটের ভাড়া দ্রুত সময়ের ভিতরে কমাতে হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজানে সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, অভি চৌধুরী, পাকুন্দিয়া উপজেলা আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, বাজিতপুর উপজেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফজল মোল্লা, সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোমেনউদ্দীন জনি, ছাত্র নেতা ইমন খান, পায়েল চৌধুরী প্রমুখ।

বিআরইউ