ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে মানুষের জরুরি সেবায় রয়েছে ২টি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স । কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালকের কাছে অনিয়ম ও কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে সময়মত চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন না রোগীরা।
এ অবস্থায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালককে সময়মত না পেয়ে জরুরি চিকিৎসাসেবা নিতে মানুষকে ভরসা করতে হয় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস অথবা অটো রিকশার ওপর। এতে বাড়তি ভাড়া ও চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এর আগে মহসিন নামে একজন চালক অনিয়মের দায়ে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন শাহাদাত। তিনি অনিয়ম ও কর্তব্যকাজে ফাঁকি দিয়ে আসছে নিয়মিত।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার ধারাখানা এলাকার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ রিয়া মনিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখনকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়া মনিকে বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু প্রায় দুইঘন্টা অপেক্ষা করেও চালককে না পেয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ফোনে ছুটে আসেন শাহাদাত।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছি। অ্যাম্বুলেন্স গ্যরেজেই ছিলো কিন্তু চালক শাহাদাত আমাদের সেবা দিতে চাইনি।
এবিষয়ে চালক শাহাদাত বলেন, অফিসের কাজের জন্য ব্যস্ত ছিলাম। আমি সেবা দিতে চাইনি এটা সত্য নয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ বলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাত আউটসোর্সিংয়ে কাজ করে। আমাদের চালক সংকট তবে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরএস