কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় রাতের আঁধারে বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে একদল দূর্বৃত্তের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গৃহবধূসহ তিন জন আহত হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ছড়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
হামলার শিকার স্থানীয় মৃত আকবর আহমদের পুত্র মানিক বলেন, মৎস্য পোনা বিক্রি করে আমার পরিবারের আয় রুজি নির্বাহ করি। স্থানীয় আনোয়ার হোসেন মেম্বারের পুত্র রেজাউলের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় তার অতিরিক্ত রিকোয়েস্টে এক বছর আগে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি করে এক লক্ষ টাকা ধার দিই। ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করারর কথা থাকলেও সে পরিশোধ করে নি। বিভিন্ন সময়ে পাওনা টাকা চাইতে গেলে, সে বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার পাওনা টাকা চাওয়ায় স্টেশনে জনসম্মুখে গালিগালাজ করে মারধর করতে তেড়ে আসে। পরবর্তীতে এ ঘটনার জেরে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় জহির, পুতিয়া ও মুবিনের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী এনে বাড়িঘরের দরজা, জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়। তাদের বাধা দিতে গেলে আমার স্ত্রী ও কন্যাকে মারধর করে আহত করে এবং বাড়িতে রক্ষিত স্বর্ণালক্ষার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আমার স্ত্রীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজারের সদর হাসপাতালে রেফার করের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক। বর্তমানে সে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আহতদের স্বামী মানিক।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুর কাদের ভুইঁয়া বলেন, কোনাখালীতে মারামারির ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ