বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজারে দেড় মাসে ২৫ দোকানে চুরি

বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজারে দেড় মাসে ২৫ দোকানে চুরি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে গত দেড়মাসে ২৫টি দোকানে চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় ৮ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সপ্তাহে সপ্তাহে চুরি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর একটা স্থায়ী সমাধান চাচ্ছেন তারা।

প্রথম ধাপে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে হ্যাপি ইলেকট্রিক, চৈতি ইলেকট্রিক, স্মৃতি এন্টারপ্রাইজে চুরি হয়। তাদের নগদ অর্থসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

২য় ধাপে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ৪টি দোকানে চুরি হয়। ২য় পর্যায়ে যাদের দোকানে চুরি হয়, আল মদিনা হোটেল এন্ড সুইটমিট, বিশ্বকর্মা হার্ডওয়্যার্ড, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর, জাকির মিয়ার সেলুনের দোকান। এই চারটি দোকানের নগদ অর্থসহ প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়।

৩য় ধাপে গত ৭ অক্টোবর দিবাগত রাতে ৭টি দোকানে চুরি হয়। যে দোকানগুলোতে চুরি হয়, চাউরা হোমিও হল, বন্ধু মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার, মা বস্ত্রালয়, তৃপ্তি মেডিকেল হল, ইমন দাসের লন্ড্রির দোকান, মো. ফয়েজ মিয়ার সেলুনের দোকান, মনিল রবি দাসের জুতার দোকান। এই ৭টি দোকানের নগদ অর্থসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়।

চতুর্থ ধাপে গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাতে ছয়টি দোকান চুরি হয়। এতে ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থসহ প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। যেসব দোকানে চুরি হয়, মোহাম্মদ নুর মিয়ার চাউলের মেইল, মো. সোহেল মিয়া চাউলের দোকান, মো. তুষার মিয়ার সাইকেল মেকানিক্যাল দোকান, কিশোর পালের চায়ের দোকান, মোহাম্মদ আল-আমিন ওয়ার্কশপের দোকান ও মা বাবার দোয়া ফার্নিচার।

৫ম ধাপে ১৩ নভেম্বর ভোররাতে ৩ টি দোকানে চুরি হয়। ৫ম ধাপে আজমেরী সুপার স্টোর, থ্রি স্টার মটরস ও মজুমদার মেডিকেল হলে চুরি হয়। এতে তাদের নগদ অর্থসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়।

সিঙ্গারবিল বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তারা প্রতিদিন পাহারাদারকে দৈনিক চাঁদা দেওয়ার পরও এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটেই চলছে। বাজার কমিটিদেরকে বিষয়টি জানালে তারা দেখবো দেখবো বলে। এরই মাঝে আবারও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেল। আমরা ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা আর ব্যবসা করতে পারব না। চুরির আতঙ্কে দোকানে মালামাল তুলতে পারি না। ব্যবসায়ীরা চুরির সাথে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার দাবি জানান।

সিঙ্গারবিল বাজারের পাহারাদার সেন্টু মিয়া বলেন, আমরা ৪ জন বাজার পাহারা দেই। দোকানের পিছন দিকে চুরি হয়। আর পিছনে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। আমরা চুরি হওয়ার কোনো টের পাই না।

সিঙ্গারবিল বাজারের সাবেক সভাপতি আবুল ফায়েজ বলেন, পাহারাদারকে আমি জিজ্ঞেস করেছি। তারা বলেছে পিছনের দিক দিয়ে চুরি হয়। পিছনে তারা যাওয়ার রাস্তা নেই। আমি দোকানদারদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি।

ইএইচ