হাটহাজারীতে বাস চাপায় মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
হাটহাজারীতে বাস চাপায় মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাস চাপায় মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব আহমদ (৪৫) প্রকাশ মহেশখালী হুজুর নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত চট্টমেট্টো-জ ১১-১০৯৬ নাম্বারে নিবন্ধিত বাসটি আটক করে জনতা।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার এগারো মাইল এলাকায় মহাসড়কের উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শোয়াইব ওই এলাকার শাহ অলি উল্লাহ নামের একটি মাদ্রাসায় সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত ছিল এবং তিনি মহেশখালী উপজেলার সিকদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

জানা যায়, রাতে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতাল থেকে তার অসুস্থ এক ভগ্নিপতিকে দেখে নগরীর মুরাদপুর থেকে দ্রুতযান সার্ভিসের একটি বাস যোগে মাদ্রাসায় ফিরছিলেন তিনি। গন্তব্যে পৌঁছলে অসাবধান হয়ে চলন্ত অবস্থায় বাস থেকে নামার সময় সেই বাসের নিচে পড়ে যায়। এতে মুহূর্তের মধ্যে বাসের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সৃষ্ট যানজট নিরসনে কাজ করে মডেল থানার পুলিশ। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হলেও আটক হয়নি বাসের চালক বা হেলপার।

স্থানীয়রা আরো বলেন, চট্টগ্রাম-হাটহাজারী মহাসড়কে এই দ্রুতযান সার্ভিস আসার পর থেকেই তারা খুব বেপরোয়া গাড়ি চালায়। সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে মাঝপথে যাত্রী উঠানামা করে। তাদের সামনে যেকোনো গাড়ি দেখলে অতিরিক্ত হর্ন বাজায়, তাও আবার হাইড্রোলিক হর্ন। এতে সামনে থাকা গাড়ি বিপাকে পড়ে যায়। শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে যাত্রী ও পথচারীরা। তাদের এই বেপরোয়া গতির কারণে মহাসড়কে অন্যান্য গাড়ি গুলো চলাচল করতে যেমন মুশকিল হয় তেমন সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়ে যায়। সড়কের আইন অমান্য করে গাড়ি চালিয়ে তারা সড়কের শৃঙ্খলা নষ্ট করছে প্রতিনিয়ত। তারা চলন্ত অবস্থায়ও যাত্রী ওঠানামা করে।

এবিষয়ে রাউজান হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, দুর্ঘটনার পর উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। পরে বিনা ময়নাতদন্তে লাশটি তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গাড়ির কাগজপত্র এখনো দেখা সম্ভব হয়নি। বাসটি থানার সামনে আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

বিআরইউ