কিশোরগঞ্জে পিঠা বিক্রি করে চলে জুলেখার সংসার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
কিশোরগঞ্জে পিঠা বিক্রি করে চলে জুলেখার সংসার

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নগুয়া এলাকার বাসিন্দা জুলেখা বেগমের স্বামী নেই। বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে বসে চিতইপিঠা, ভাপাপিঠা, ঝাল পিঠাসহ নানা রকমের পিঠা বিক্রি করেন।

ভাড়া বাসায় থাকেন। নিজের স্থায়ী কোন বাড়িঘর নেই। সামান্য একটি বাড়ি থাকলেও পার্শ্ববর্তী আব্দুল হাই নামের এক ব্যক্তি দখল করে নিয়েছে। দুই ছেলে। বড় ছেলে বিয়ে করে থাকেন শ্বশুর বাড়িতেই। আর ছোট ছেলে ঝালমুড়ি বিক্রি করে। সব মিলিয়ে কোন রকম চলে তার সংসার।

শুধু জুলেখাই নয়, জুলেখার মতো এরকম অনেকেই আছে যারা নিজস্ব হয়ে পেটের দায় রাস্তার পাশে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালান।

শীতকাল এলেই প্রতিটি ঘরে ঘরে শীতের পিঠাপুলি বানানোর কথা থাকলেও এখন মানুষের ব্যস্ততার কারণে পিঠা কিনে খেতে হয়। এতে যেমন মানুষের তৃপ্তি মিটে তেমনি দোকানিরাও তাদের পিঠা বিক্রি করে আয়-রোজগারের সুযোগ পাচ্ছে।

রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শিশির ভেজা কুয়াশায় ও মিষ্টি রোদের পরশে বাহারি জাতের পিঠা বানিয়ে রেখেছে।

প্রতিপিছ চিতইপিঠা বিক্রি করেন ১০ টাকায়। ভাপাপিঠা ১০ টাকা আর ঝাল পিঠা বিক্রি করেন ১০ টাকায়। সাথে রয়েছে বিভিন্ন পদের ভর্তা।

পিঠা কিনতে আসা শামীম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘জুলেখা বেগম খুব অসহায়। স্বামী নেই। তিনি দীর্ঘদিন যাবত পিঠা বিক্রি করে চলছে। সকাল থেকেই তার পিঠা খেতে অনেক লোক ভিড় জমায়। তার পিঠা অনেক সুস্বাদু।’

এ বিষয় পিঠা বিক্রেতা জুলেখা বেগম আমার সংবাদকে বলেন, ‘আমার স্বামী নেই। দুই ছেলে। বড় ছেলে বিয়ে করে থাকে শ্বশুর বাড়ি। ছোট ছেলে ঝালমুড়ি বিক্রি করে। ভাড়া বাসায় থাকি। একটি বাড়ি ছিল। পার্শ্ববর্তী আব্দুল হাই নামের এক ব্যক্তি জোড় করে দখল করে নিয়েছে। আমি আদালতে মামলা করছি। আমার পক্ষে একটি রায় আসছে। আরও একটি রায় আসলে আমি জমি ফেরত পাব। আমি সরকারের সহযোগিতা চাই।’

ইএইচ