কুড়িগ্রামে প্রতিবছর শীতের মৌসুম এলেই ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে জমে উঠে ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠার ব্যবসা।
শহরের মোড়ে মোড়ে, শপিং মলের সামনে ও বিভিন্ন মোড়ে দেখা যায় ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠার দোকান।
দোকানগুলোতে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, সিম পিঠা, তেল পিঠাসহ সিদ্ধ ডিম পাওয়া যায়। অল্প মূল্যের কারণে এসব পিঠার দোকানে বেশি বিক্রয় হয়।
ভাপা পিঠা প্রতিপিস ১০ টাকা ও চিতই পিঠা ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া চিতই পিঠার সাথে শুটকি ভর্তা, সরিষা ভর্তা ও ধনিয়া ভর্তা ফ্রি।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের সামনে, মধুর মোড়ে, ভোকেশনাল মোড়, সিএন্ডবি মোড়, বাসস্ট্যান্ড, পৌর বাজার, দাদা মোড় ও ঘোষপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান বসেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন পাড়ার মোড়গুলোতেও মহিলারা ভাপা পিঠার দোকান দিয়েছে।
এরমধ্যে ঘোষপাড়ার দোকান সবচেয়ে বেশি ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠা বেশি বিক্রয় হয়। এ দোকানে ১০টি চুলায় ৫ জন সদস্য ভাপা পিঠা ও চিতই তৈরি করেও সামলাতে পারে না। সন্ধ্যা হতেই কাস্টমারের ভিড় জমতে দেখা যায়। দোকানগুলোতে স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন ধরনের পিঠা ভোজন বিলাসী মানুষ এসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা করে পিঠা খাচ্ছে এবং পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য প্যাকেট করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
পৌর এলাকা থেকে পিঠা খেতে আসা মো. জুয়েল জানান, আমি প্রায়ই এ দোকানে চিতই পিঠা খেতে আসি এবং পরিবারের জন্য নিয়ে যাই। বিশেষ করে ১০ টাকাতে তিন প্রকার ভর্তাসহ পিঠা পাচ্ছি। এজন্যই আসা।
পিঠা ব্যবসায়ী আজিমুদ্দিন জানান, আমি ২০ বছর যাবত এখানে পিঠার দোকান করতেছি। প্রথমে ১টি চুলা দিয়ে শুরু করি। আস্তে আস্তে আল্লাহর রহমতে এখন ১০টি চুলায় বিভিন্ন প্রকার পিঠা তৈরি করে মানুষকে খাওয়াই। আমার দোকানে ছেলে ও জামাইসহ পাঁচ জন পিঠা তৈরি করে বিক্রি করি। প্রত্যেককে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে হাজিরা দিয়ে আমার ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা থাকে।
ইএইচ