অধিক ফলন ও কর্মসংস্থানের বিকল্প হিসেবে পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে সাতক্ষীরার চাষিদের। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফল সবার কাছে পরিচিত না হলেও দিনে দিনে এর চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের দুধারে চোখে পড়ে এ পানিফল।
দেবহাটা উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে দেখা যাচ্ছে পানিফলের চাষ। হাটবাজার ও ফুটপাত ছাড়াও ক্ষেত থেকে তুলে মহাসড়কের ধারে পানিফল বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। প্রতি কেজি পানিফল স্থান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকায়। স্থানীয়ভাবে ফলটি উৎপাদন বেশি হওয়ায় জনপ্রিয় চাষ হয়ে উঠেছে। সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণসম্পন্ন এ ফলটির চাষ সাতক্ষীরা জেলায় বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে ফলটি উৎপাদন বেশি হওয়ায় জনপ্রিয় চাষ হয়ে উঠেছে। সুস্বাদু ও প্রিয় মৌসুমে ফল হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে ব্যাপক পরিমাণ চাষ হচ্ছে। উপজেলার সখিপুর, গাজিরহাট, কামটা, কোঁড়া, দেবহাটা, পারুলিয়া, কুলিয়া, বহেরাসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এটি চাষের জন্য জমি হিসেবে ডোবা, খানা, মৎস্য ঘেরে সুবিধাজনক। সামান্য লবণাক্ত ও মিষ্টি পানিতে চাষ করা যায়। তাছাড়া পানি ফল গাছ কচুরিপানার মত পানির উপরে ভেসে থাকে, পাতার গোড়া থেকে শিকড়ের মত ডগা বের হয়ে বংশ বিস্তার করে এবং তা থেকে ফল ধারণ করে। পানিফল চাষে খুব বেশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। সার ও কীটনাশকের পরিমাণ কম লাগে।
সখিপুর ও ডেল্টা মোড় এলাকার খুচরা পানিফল ব্যবসায়ী জামাল উদ্দীন ও আনছার আলী জানায়, বর্তমানে ২০ টাকা দরে পানিফল বিক্রয় করছেন। দিনে গড়ে ২০/৩০ কেজি ফল বিক্রয় করে ১০০/১৫০ টাকা লাভ করে। তাদের এটি মৌশুমি ব্যবসা।
পাইকারি পানিফল ব্যবসায়ী কামটা গ্রামের মৃত আব্দুল ছালেকের পুত্র খোকন বাবু সরদার বলেন, চাষের মৌসুম আসার আগে তিনি অর্ধ শতাধিক চাষীর মাঝে অর্থ বিনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে ফলন আসার পরে বাজার দর অনুযায়ী উৎপাদিত ফসল ক্রয় করেন। এভাবে ২০ বছরের বেশি সময় তিনি পানিফল ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শওকত ওসমান বলেন, পানিফল চাষ কৃষি খাতে চাষ হিসেবে ধরা না হলেও এটি অতিদ্রুত চাষের খাতে আনা হতে পারে। তাছাড়া গত বছরের তুলনায় এর আবাদ বেড়ে চলেছে। কৃষি অধিদপ্তর থেকে কোনো প্রকার বরাদ্দ না থাকলেও রয়েছে চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা।
বিআরইউ