মাগুরায় মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনের দাপট

মাগুরা প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
মাগুরায় মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনের দাপট

দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাগুরা মহাসড়কে কাগজে-কলমে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও কিন্তু বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন।

মাঝ রাস্তা দিয়ে চলছে তিন চাকার যানবাহন। বড় যানবাহন পিছন থেকে হর্ন দিলেও সাইড দিচ্ছেন না। প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

তিন চাকার যানের কারণেই সম্প্রতি মহাসড়কের কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মহাসড়কের আলমখালী টু ওয়াপদা-ভায়নামোড় টু সীমাখালী মহাসড়ক আনুমানিক প্রায় ৪৭ কিলোমিটার ঘুরে দেখা যায়, অবাধে চলছে গ্রামবাংলা, নাটা, সিএনজি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান। আবার কোথাও কোথাও প্রকাশ্যেই চলছে নছিমন ও ভটভটি। ট্রাক্টরের পেছনে ট্রলি লাগিয়ে মহাসড়কের মাঝ দিয়ে দাবড়ে বেড়াতে দেখা গেছে।

ওয়াপাদা মহাসড়ক অংশে দেখা দেখা গেছে, দুমুখি লেনেই উল্টো পথে চলছে কাগজপত্র বিহীন ওভারলোড বালুর ট্রাক, পাওয়ার টিলারের পিছনে বগি লাগানো মাটি বাহি তিন চাকার যান। এ কারণে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরিসহ বড় গাড়িগুলোর চালকদের হঠাৎ ব্রেক কষে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। মহাসড়কটিতে সাড়ে তিন ঘণ্টার যাত্রায় কোথাও হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্যকেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।

মাগুরা ঢাকা রোডে কাঁচা বাজার এলাকায় কথা হয় ইকবাল হোসেন নামে ভটভটি চালকের সঙ্গে। বলেন, ‘আগে পুলিশে অনেক অত্যাচার করত। আলোমখালী মহাসড়ক থেকে গাড়ি আটক করে মামলা দিয়ে ২৮শত টাকা নিত। পরের দিন আবার গাড়ি ধরলে মামলা না দিয়ে স্লিপ দিয়ে টাকা নিত। এখন হাইওয়ে পুলিশ তেমন কোনো ঝামেলা করে না, তারা আগের মতো গাড়ি ধরে না।

মাগুরা মহাসড়কে এই চিত্র নজরে আনা হলে রামনগর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আলোমগীর কবীর বলেন, নিয়মিত পেট্রোল ডিউটি চলমান রয়েছে এবং আমি যোগদানের এই অল্প সময়ের মধ্যে ৭৪টি মামলা রজু করা হয়েছে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে।

এই চিত্র মাগুরা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলামের নজরে আনা হলে তিনি জানান, অনিবন্ধিত যানবাহন দেশ ও রাষ্ট্রের ক্ষতিকারক এমন যানবাহনের বিষয় আমরা আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি।

ইএইচ