খাগড়াছড়িতে সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময়

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৪, ০৬:০৫ পিএম
খাগড়াছড়িতে সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময়

জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  হয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর)বেলা ১১ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খাগড়াছড়ি জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে এবং ইউনিসেফ‍‍`র সহযোগিতায় "শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম " শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক জেলা পর্যায়ে মতবিনিময়  সভায় জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন এর সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে মতবিনিময় সভায় যুক্ত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তর (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়)‍‍`র অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিজ খালেদা বেগম এবং বিশেষ অতিথি ও সম্পদ ব্যক্তি‍‍`র বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের।

সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।

Displaying IMG-20241204-WA0005.jpg

মতবিনিময় সভার শুরুতেই প্রজেক্টর স্ক্রিনের মাধ্যমে শিশু,কিশোর-কিশোরী ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে উন্মুক্ত আলোচনায় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফারুক আব্দুল্লাহ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুষ্মিতা খীসাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ধর্মগুরুরা বক্তব্য রাখেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়)‍‍`র অতিরিক্ত মহাপরিচালক খালেদা বেগম বলেন, বিভিন্ন দপ্তর তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের মাঝে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর বার্তাটি পৌঁছাতে কাজ করছে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা ও জনমতের মাধ্যমে শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকল অংশীজন একযোগে কাজ করার মাধ্যমেই এ ধরনের সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রান্তিক পর্যায়ে বাল্যবিয়ে  প্রতিরোধের জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। বিভিন্ন সভা -সেমিনার, উন্মুক্ত বৈঠক, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, পল্লী সংগীতের মাধ্যমেও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সারাদেশের  ৬৪টি জেলা এবং ৪টি উপজেলাসহ মোট ৬৮টি তথ্য অফিস কাজ করছে। মানুষের আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যাগুলো দূর করতে তথ্য অফিস প্রান্তিক পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিআরইউ