পাবনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সরকারি রাস্তা প্রাচীর নির্মাণ করে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়ন এ পাটকিয়াবাড়ী গ্রামের।
ভুক্তভোগী পরিবার পাবনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, মো. মজিবর রহমান (৫৩) দীর্ঘদিন যাবৎ যাতায়াতের রাস্তা ব্যবহার করে আসছেন যা সরকারি ম্যাপ এ সরকারি রাস্তা বলে গণ্য। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে পাশের বাড়ির মো. বিশাল হোসেন (২৫) ও মোছা. নার্গিস পারভীন নিজেদের জায়গা দাবি করে জোরপূর্বক প্রাচীর নির্মাণ করতে থাকেন। এতে মজিবর ও তার পরিবার এবং পাশের কয়েকটি বাড়ির লোকজনের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, আমরা জন্মের পর থেকে দেখে আসছি এই কয়েকটি পরিবার এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। এটা সরকারি ম্যাপের রাস্তা, তাছাড়া শুধু সরকারি রাস্তা কেন যদি কেউ একটা পথ দিয়ে দুই বছর যাতায়াত করেন তাহলে সেই পথও কারো বন্ধ করার বিধান নেই। এই রাস্তা নিয়ে মজিবরের পরিবারকে মারধরও করেছে বহুবার। কিন্তু এবার দেখছি এই সরকারি রাস্তা প্রাচীর দিয়ে আটকে দিচ্ছে এটা খুবই দুঃখজনক।
ভুক্তভোগী পরিবার ও মজিবর, বলেন এই রাস্তা আমার দাদার আমলের থেকে ব্যবহার করে আসছি। হঠাৎ এরা নিজেদের জায়গা দাবি করে প্রাচীর দিয়েছে আমাদের পথ আটকে, আমরা যাতায়াত করতে পারছি না।
প্রতিবেশী ডা. সালাম বলেন, সরকারি ম্যাপে এটা রাস্তা। তাদের বন্ধ করতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তা মানেননি আমার মনে হয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তাকারী সংস্থার পাবনা জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা সরেজমিন দেখে এসেছি। এলাকাবাসী ও সুধিজনের সাথে কথা বলেছি। সরকারি রাস্তা প্রাচীর দিয়ে মানুষের যাতায়াত বিঘ্ন ঘটানো মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
এ বিষয় এ পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। সরকারি রাস্তা কোনোভাবেই বন্ধ করার এখতিয়ার কারো নেই। ভুক্তভোগী পরিবারকে সর্বোচ্চভাবে আইনি সহায়তা প্রদান করবো।
ইএইচ