আগরতলা অভিমুখে বিএনপি’র লং মার্চ ঘিরে, ব্যাপক প্রস্তুতি

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
আগরতলা অভিমুখে বিএনপি’র লং মার্চ ঘিরে, ব্যাপক প্রস্তুতি

ঢাকা থেকে ভারতের আগরতলা অভিমুখে বিএনপি’র তিনটি অঙ্গসংগঠনের ডাকা লং মার্চ কর্মসূচি বুধবার। আগরতলা অভিমুখের লং মার্চে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত দুই হাজার গাড়ির বহর থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। সমাবেশে ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক সমাগমের ধারণা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।

এদিকে লংমার্চে যেন শৃঙ্খলা বিঘ্ন না হয় সেই লক্ষে কাজ শুরু করেছে প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান, বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এছাড়া সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন তারা। 

এর আগে কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি’র তিন অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ঘুরে গেছেন। যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ আখাউড়া স্থলবন্দর ও এর আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে স্থলবন্দরের কাস্টমস এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না। লং মার্চ থেকে প্রভুত্ব নয়, বন্ধুত্বের বার্তা দিতে চান বলে সাংবাদিকদেরকে  জানিয়েছেন ওই নেতা। 

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারি হাই কমিশনারের কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে ডাকা লং মার্চকে কেন্দ্র করে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মাইকিং করে লংমার্চে যোগদানের আহ্বান করা হয়।   

আখাউড়া উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম ভূইয়া বলেন, ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে তারা সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।’

জেলা বিএনপি’র সদস্য ও সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী কবীর আহমেদ ভূইয়া বলেন, ‘ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিবাদের আমাদের এ কর্মসূচি। ইচ্ছে করলে লাখো লোক জমায়েত করা সম্ভব। তবে স্থান অনুযায়ী লোক সমাগমের চিন্তা করা হচ্ছে।’

বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘কর্মসূচিকে ঘিরে যেন শৃঙ্খলা বিঘ্ন না হয় সেজন্য আমরা পুলিশকে নিয়ে কাজ করবো। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালিত হবে। 

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অন্তত দুই হাজার গাড়ির পার্কিংয়ের কথা মাথায় রেখে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ।’

আরএস