‘১৫ বছরে আ.লীগ ব্যাংক-বিমা ধ্বংস করে ফেলেছে’

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
‘১৫ বছরে আ.লীগ ব্যাংক-বিমা ধ্বংস করে ফেলেছে’

শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দেশের শুধু অর্থনীতি নয়, গত ১৫ বছরে ব্যাংক-বীমা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, আইন শৃঙ্খলা, বিচার ও নির্বাচন ব্যবস্থাসহ সবই ধ্বংস করে ফেলেছে। ২০০০ সালে ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠিত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে জবর দখল করে পুরো কোম্পানিসহ গ্রাহকদের হাজার কোটি টাকা লুটেপুটে খেয়েছে।

৫ আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর লুটেরা গোষ্ঠীর একজন এ কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এখন কারাগারে রয়েছেন।

বিএনপি নেতা ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে মেয়াদোত্তর ৪৬৬ জন গ্রাহককে বীমা দাবির এক কোটি দশ লাখ টাকার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কোম্পানির ইভিপি ও ইস্টার্ন রিজিওন ইনচার্জ মোজাম্মেল হোসেন শাহীনের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এভিপি ও নোয়াখালী ডিভিশন ইনচার্জ মাওলানা নুরুল হুদা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও বসুরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল করিম ফয়সল, সদস্য সচিব জাহেদুর রহমান রাজন প্রমুখ।

ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের গ্রাহকরা নিশ্চিত হয়েছে তাদের আমানত রাখা টাকা ফেরত পাবে। অক্টোবর মাসে এখানে প্রথম ধাপে দু’কোটি টাকা, আজ দ্বিতীয় পর্বে ৪৬৬জন গ্রাহককে মেয়াদোত্তর বীমার এক কোটি দশ লাখ টাকা দেয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিগত বছরগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী অবস্থা ছিল তা সকলের জানা আছে। এখানে আর যেনো আবদুল কাদের মির্জার মতো স্বৈরশাসক জালেমের সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এখনো কিছু কিছু অনিয়ম হচ্ছে। বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ যেন কোনো ধরনের অনিয়ম এবং প্রশাসনের ওপর অনৈতিক প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সে বিষয়ে স্থানীয় রাজনীতিবিদদের নজর রাখতে হবে। যারা বর্তমানে এসব অনিয়ম করছে এবং অনিয়মের সাথে জড়িত আছে, তাহলে তো আওয়ামী লীগের সাথে আর আমাদের কোনো পার্থক্য রইলো না।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত ৪৬৬ জন গ্রাহকদের মাঝে মেয়াদোত্তর বীমার এক কোটি দশ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

বিআরইউ