পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে শুরু হয়েছে বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদন।
উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্যবন্দর সংলগ্ন কচা নদীর পাশের চরে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত শুঁটকি।
স্থানীয়ভাবে তৈরি এ শুটকিতে বিষ বা রাসায়নিক পাউডার দেয়া হয় না বলেই এ শুঁটকির সুনাম এবং চাহিদা বেশি। কিছু শুঁটকি পল্লীতে মাছের খাদ্য তৈরির শুঁটকি উৎপাদিত হলেও পাড়ের হাটে শুধুমাত্র মানুষের খাওয়ার শুঁটকি উৎপাদিত হয়।
নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চলবে শুঁটকি উৎপাদনের কাজ। পাড়েরহাট, পাথরঘাটা, আমুয়া ও বাগেরহাট মৎস্যবন্দর থেকে সংগৃহীত বাছাই করা মাছ থেকেই এখানে শুঁটকি তৈরি করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাতারি, কালিয়া, হাইতা, ডেলা, ফাইসা, ফেসসা, মধু ফেসসা, মরমা, বেজি, ছুরি, লইট্যা ও ডুম্বুরা মাছের শুঁটকি প্রক্রিয়ার কাজ চলছে।
৮ বছর আগে পাড়েরহাটের বাদুরা এলাকার বাসিন্দা আকিজুল বেপারী এক একর জমির উপর এ শুঁটকি পল্লী নির্মাণ করেন। তখন তার শুঁটকি পল্লীতে ১০ জন শ্রমিক কাজ করত। আকিজুল বেপারীর দেখাদেখি এখন পাড়েরহাটে ৬ জন ব্যবসায়ী শুঁটকির ব্যবসায় নেমেছেন। এ শুঁটকি পল্লীতে বর্তমানে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
শুঁটকি পল্লীর একাংশের মালিক আলী সর্দার জানান, শুঁটকি তৈরিতে তারা বিষ বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন না। আড়ত থেকে মাছ কিনে এনে কেটে ভালোকরে ধুয়ে লবণ পানিতে ১ দিন ভিজিয়ে রাখেন। এরপর বাঁশের তৈরি মাচা এবং বেড়ায় মাছ শুকাতে দেন। ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাঁচামাছ শুটকিতে পরিণত হয়। তারা ইতোমধ্যে শুঁটকির ২টি চালান কক্সবাজারে বিক্রির জন্য পাঠিয়েছেন। তারা বছরে প্রায় দেড় থেকে ২ হাজার মন শুঁটকি উৎপাদনের আশা করছেন।
ইএইচ