রাজবাড়ীর কালুখালীতে গত ৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নারায়নদিয়া তালতলা এলাকায় মাঠের ভিতর রসুন ক্ষেত থেকে কদম আলী শেখ (৫৫) নামের এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করে কালুখালী থানা পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে নিহতের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়।
তিনি একজন সহজসরল ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিল বলে এলাকাবাসী জানান।
নিহতের স্ত্রী মোছা. কাকলি বেগম জানান, আমার স্বামী একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিল। ঐদিন বিকালে বাড়ি থেকে সবজি বিক্রি করতে হরিণবাড়ীয়া বাজারে যায়। অনেক রাত হয়ে গেলে ফিরে না আসায় আমরা খোঁজাখুজি করতে থাকি। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে আমার স্বামীর লাশ মাঠের মধ্যে রসুন ক্ষেত থেকে পাওয়া যায়। এ সময় বাজার থেকে ক্রয় করা তেল, সার তার ব্যবহৃত পায়ের স্যান্ডেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে বুঝতে পারি আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
কদম আলীর একমাত্র পুত্র আবজাল শেখ বলেন, আমার ছোট বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল। আমি ঢাকাতে থাকি। বাবা মারা যাওয়ার সংবাদ শুনে আমি বাড়িতে চলে আসি। ময়নাতদন্তের জন্য থানা পুলিশ রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করলে আমি বাবার লাশের সাথে যাই। বাবার মাথা, পা এবং অন্ডকোষে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। আলমগীর ও তার পরিবারের লোকজন আমার বাবাকে হত্যা করেছে বলে আমার সন্দেহ। ঘটনাস্থলে গিয়ে ধস্তাধস্তির চিহ্ন দেখতে পাই। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় আসাদুজ্জামান ভুট্টো বলেন, হট্টগোল শুনে সাভারিয়া পাড়া বাজার থেকে আমি দৌড়ায় ঘটনাস্থলে আসার সময় আলমগীর ও জাহাঙ্গীর সহ ৩/৪ জন পালিয়ে যেতে দেখি। আমার ধারণা তারাই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে।
এ ঘটনায় কালুখালী থানায় নিহতের স্ত্রী কাকলি বেগম বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
এ ব্যপারে কালুখালী থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে বিচারের আওতায় আসতে হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ