টানা তিনদিনের শৈত্যপ্রবাহে জেঁকে বসেছে শীত। দিনের বেশিরভাগ সময়ই দেখা নেই সূর্যের।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর জমে উঠেছে শীতের গরম কাপড়ের বেচাকেনা। তীব্র শীতে কাপড়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নতুন-পুরাতন শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বাঞ্ছারামপুরের সাপ্তাহিক হাট মাওলাগঞ্জ বাজারে দোকানিরা। এসব দোকানগুলোতে ক্রেতাদের সাধ্য অনুযায়ী কাপড় বিক্রি হয় বলে ভিড় জমাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
সাপ্তাহিক হাটে বাঞ্ছাপুরের মাওলাগঞ্জ বাজারের সরেজমিনে দেখা যায়, সপ্তাহের রোববার খোলা আকাশের নিচে বসে এই হাট। ঐতিহ্যবাহী হাটের গরম কাপড়ই এখন স্থানীয় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ভরসা। দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পুরাতন কাপড়ের এই হাটটি।
হাটে পুরাতন বিদেশি জ্যাকেট, হুডি, সোয়েটার ছাড়াও গেঞ্জি, প্যান্ট ও নতুন সব ধরনের শীতের পোশাক পাওয়া যায়।
শীতের কাপড় ক্রয় করতে আসা জালাল উদ্দিন জানান, শীত বাড়ছে তাই ছেলেকে নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে আসছি। মার্কেটে গিয়ে দামের জন্য কিনতে পারি না। এখানে কম দামে মোটামুটি ভালো পোশাক পাই। ছেলের জন্য একটা জ্যাকেট কিনলাম ১৫০ টাকা দিয়ে। দাম কম হওয়ায় ছেলের মার জন্যও একটা সোয়েটার নিলাম। আমরা দিন আনি দিন খাই। এই কাপড়ই আমাদের ভরসা।
বাজারে আসা রুমিন বেগম বলেন, আমার বাচ্চার বয়স দেড় বছর। শীত পড়া শুরু করেছে। ছোট বাচ্চার জন্য গেঞ্জি ও প্যান্ট কিনতে এসেছি। এখানে যা কিনেছি ২৫০ টাকায়। এগুলো মার্কেট থেকে কিনতে গেলে ৫০০ টাকার ওপরে লাগতো। সাশ্রয়ের জন্য এখান থেকে কিনলাম। আমার মতো অনেকেই এখান থেকে শীতের কাপড় কিনছেন।
ব্যবসায়ী সালাম আহমেদ বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে এই হাটে শীতের নতুন ও পুরাতন কাপড় বিক্রি করি। গত বছরের তুলনায় এবার অনেক দোকান বেড়েছে। পুরাতন গরম কাপড়ের চাহিদা ভালো। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
আব্দুল বাছেদ বলেন, ভালো মাল বেশি দামে কিনে আনছি। কাস্টমার মালের দাম অনেক কম বলে। তিন চার বছর ধরে এই হাটে পুরাতন কাপড় বিক্রি করি। আগের বছরের থেকে বেচাকেনা কম। তবে ধীরে ধীরে ক্রেতা বাড়ছে।
ইএইচ