জন্মের পর থেকেই বিরল হেমান জিও মা (রক্তনালির টিউমার) রোগে ভুগে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে ১২ বছরের শিশু জুবায়ের আল মাহমুদ। এই রোগের কারণে তার জিহবার আকৃতি বৃদ্ধি পেতে পেতে মুখ থেকে ঝুলে বুকে পড়েছে।
অর্থ সংকটের কারণে অটোরিকশা চালক বাবা আমিনুল ইসলাম নিজ সন্তানের চিকিৎসায় সম্ভাব্য ১৫ লাখ টাকা জোগাড়ে বার বার ব্যর্থ হওয়া হয়েছেন।
ফলে ১২ বছর ধরে বিনাচিকিৎসায় ভুগে প্রতিবেশীসহ স্কুলের সহপাঠীদের কাছ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করছে ওই শিশু। এতে করে শিশু জুবায়েরের শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে তার বাবা।
এদিকে এই খবর পেয়ে বরিশাল সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ ৫০ হাজার টাকা সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি ফেসবুক গ্রুপ ‘ইভেন্ট ৮৪’ এর সদস্যদের কাছ থেকে আট হাজার টাকা সহায়তা তুলে দেন সমাজসেবা কর্মকর্তা সাজ্জাদ।
ভুক্তভোগী শিশু জুবায়ের আল মাহমুদ পিরোজপুরের নেছারাবাদের পূর্ব ছারছিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা আমিনুল পিরোজপুরের ছারছিনা গ্রামের বাসিন্দা।
শিশুর বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, জন্মের পর থেকে জুবায়েরের জিহ্বায় আকৃতি বড় হচ্ছে। অর্থাভাবে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছি না। তাই রাষ্ট্রের সহায়তার পাশাপাশি হৃদয়বান মানুষের কাছে সহায়তা চাইছি।
তিনি আরও বলেন, এই রোগের কারণে আমার সন্তানের কাছে আসছে সহপাঠীসহ অন্যান্যরা ভয় পায়। ফলে যত বড় হচ্ছে আমার সন্তানও একা হয়ে যাচ্ছে।
বরিশাল সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, শারীরিক অসুস্থতা থাকলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। তাই দ্রুত ওই শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
বরিশাল জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, পিরোজপুরের বাসিন্দা হওয়ায় ওই এলাকার সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ব্যক্তিগতসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ওই শিশুকে সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। জুবায়েরের সুন্দর জীবন নিশ্চিতে দ্রুত সুচিকিৎসা দরকার।
ইএইচ