কটিয়াদীতে ভুয়া সুপারিশপত্রে তিন শিক্ষক নিয়োগ

আরমান মিয়া, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ১১:০৫ এএম
কটিয়াদীতে ভুয়া সুপারিশপত্রে তিন শিক্ষক নিয়োগ

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পং মসূয়া আদর্শ মহিলা দাখিল মাদরাসায় ভুয়া সুপারিশপত্র দেখিয়ে তিনজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, মাদরাসার সুপার ও সভাপতির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ায় ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে মাদরাসাটিতে কোনো শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়নি। তবে মাদরাসার সুপার মো. আনোয়ার হোসেন ও সভাপতি হুমায়ুন কবির সোহাগ ভুয়া সুপারিশপত্র তৈরি করে তিনজনকে নিয়োগ দেন।

এ কাজে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সহযোগিতার কথাও উঠে এসেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদরাসায় নিয়োগ বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। পাঁচজন ভুয়া শিক্ষক বর্তমানে মাদরাসায় রয়েছেন। সুপারের মেয়ে ও জামাইকেও অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জানান, সুপার তাদের বৈধ নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নেন। পরে তারা বুঝতে পারেন, তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র ভুয়া।

তবে মাদরাসার সুপার মো. আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, এনটিআরসির সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে কাগজপত্র যাচাইয়ে ভুয়া প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈদুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রাপ্ত তথ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইএইচ