সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ভাঙাচুরা সড়ক মানুষের চরম কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় সড়কের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়েই সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। প্রতিবছর এ ইউনিয়নের ৩টি শুল্কবন্দর সহ বিভিন্ন খাত থেকে সরকারি কোষাগারে মোটা অঙ্কের রাজস্ব জমা পড়ে। অথচ, রাজস্ব খাতে অনন্য অবদান থাকলেও এ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে যাতায়াতের একমাত্র সড়কপথের এই রুগ্নদশা দীর্ঘ বছর ধরে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি একাধিক দপ্তরে এ পথেই যাতায়াত করেন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। এছাড়া এ পথ দিয়ে যেতে হয় উপজেলা সদরে। এ ইউনিয়নের সড়কপথটি সংস্কার না হওয়ায় প্রতিদিন দুর্ঘটনায় পড়ছেন পথচারীগণ সরেজমিন গিয়ে এমন চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, যান চলাচল ও পণ্য পরিবহণ তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে যাওয়াই এখন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে ভিতরে চাপা ক্ষোভ নিয়ে এ সড়কপথে চলাচল করছেন এ জনপদের বাসিন্দাগণ। ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি যেন মরণফাঁদ।
জানা গেছে, এলাকাবাসীর দাবির মুখে জনপ্রতিনিধিগণ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ সড়কপথে।
ইউনিয়নের বেতাগড়া গ্রামের বাসিন্দা শামীম উসমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে সড়কটি। এ সড়কে গাড়ি উলটে ঘটে দুর্ঘটনা। রোগী নিয়ে যেতে ভীষণ কষ্ট হয়।
গ্রামের বাসিন্দা তামিম তালুকদার জানান, এ সড়কপথে প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করেন উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে। আমরা শুধু প্রতিশ্রুতি পাই। রাস্তার উন্নয়নে কোনো জনপ্রতিনিধি এগিয়ে আসেনি। মোটরসাইকেল চালক জুয়েল বলেন, ভাঙাচুরা সড়কে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ সড়ক এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হবে।
বিআরইউ