নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্যবান্ধব ডিলারের নিয়োগ পেতে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে টেন্ডারের জন্য ষড়যন্ত্র করে ফুডগ্রেইন লাইসেন্স না দেওয়ার অনিয়মে উপজেলা প্রশাসনকে অভিযোগ করেছেন জামায়াতপন্থি ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সোনাইমুড়ী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৯ জন ডিলার নিয়োগ দিতে (১১ ডিসেম্বর) উপজেলা কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি নাসরিন আক্তার বিজ্ঞপ্তি দেন।
১১ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা পর্যন্ত নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন দাখিলের সময়সীমা দেওয়া হয়। ওই আবেদনে পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি, ফুটগ্রেইন লাইসেন্সের ফটোকপি, ব্যাংক কর্তৃক আর্থিক সচ্ছলতার সনদ, দোকানের মালিকানা কাগজের ফটোকপি, নাগরিক সনদ ও অঙ্গীকার নামার মূল সত্যায়িত করে দাখিল করতে বলা হয়।
আবেদনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জামায়াতপন্থি নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়। সকাল ১১টার দিকে তারা ইউএনওর কক্ষে প্রবেশ করে টেন্ডার দাখিলের সময় বৃদ্ধি করতে চাপ সৃষ্টি করেন। একই সময়ে ওই কক্ষে বিএনপি নেতা- কর্মীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পক্ষে অবস্থান নেন।
বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ী ও নেতা-কর্মীরা জানান, তারা সরকারি সব নিয়ম মেনে ফুডগ্রেইন লাইসেন্সসহ ডিলার নিয়োগ পেতে আবেদন করেছেন। তবে জামায়াতের কিছু নেতা-কর্মী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে টেন্ডারের সময় বাড়াতে চাপ প্রয়োগ করছে।
এদিকে জামায়াতপন্থি ব্যবসায়ী ও নেতাদের অভিযোগ— তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফুডগ্রেইন লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তারা অভিযোগ করেন, বাংগজ-পত্র জমা দিলেও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স সরবরাহে তালবাহানা করা হয়। সে কারণে নির্ধারিত সময়ের ভেতরে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারেননি তারা। এছাড়া বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ীদের অনিয়ম করে ফুডগ্রেইন লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তারা।
ফুডগ্রেইন লাইসেন্স নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোলাম রব্বানীর সাথে। তিনি জানান, লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী কে, কোন দলের সেটা তার জানা নেই। সব নিয়ম মেনেই আবেদনকারী ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। যারা নিয়মের বাইরে আবেদন করেছেন তারা লাইসেন্স পান নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার জানান, আজকে (গতকাল) খাদ্যবান্ধব ডিলারের আবেদনের শেষ দিন ছিল। সকালে তার অফিসে এসে একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা টেন্ডার আবেদনের সময় পেছাতে অনুরোধ করেছিল। তবে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার আবেদন সম্পন্ন হবে তাদের জানিয়ে দিয়েছেন। টেন্ডার বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি লিখিতভাবে জমা দিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
বিআরইউ