টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ডাকাতির প্রস্তুিতকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৮ নারী সদস্যসহ ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাতাররা হলেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের মৃত কালা মিয়া ওরফে কালাম মিয়ার ছেলে সুরত মিয়া(৩৮), আবু মিয়ার মেয়ে তাসলিমা(৩২), মৃত ইউনুস আলীর মেয়ে আসমা বেগম(৩০), মৃত কালাম মিয়ার মেয়ে মোছাঃ আলেয়া(৩৭), আব্দুল কাদিরের মেয়ে সোনিয়া আক্তার(২১), নূর মিয়ার মেয়ে রিফা আক্তার(২৬), সরাইল গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের মেয়ে আকলিমা বেগম(৪০), সরাইল উপজেলার বন্দরআটি গ্রামের মৃত সমুজ আলীর মেয়ে সেলিনা বেগম (৩২), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল টেকিপাড়া গ্রামের ছামসুল হকের ছেলে সেলিম সরকার(৩৭) ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের রমজান মিয়ার মেয়ে জুলেখা বেগম(৩১)।
শনিবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টাঙ্গাইল ডিবি (উত্তর)ওসি এবিএমএস দোহা এ তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মির্জাপুর উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে মাথায় সিঁদুর, কপালে টিপ ও হাতে শাঁখা পরে সোহাগপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নেয় ডাকাতরা। এসময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতুর দিকনির্দেশনায় ও ডিবি উত্তরের ওসি এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় ৮ নারী সদস্যসহ ১০ ডাকাত ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মালামালসহ একটি মাইক্রোবাস আটক করা হয়। এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মনির হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা (নং-২৬, তাং-২৭/১২/২৪ইং) দায়ের করেছেন।
ওসি এবিএমএস দোহা আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বেশ ধারন করে অভিনব কায়দায় ডাকাতি করে আসছিল। আইনানুগ কার্যক্রম শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিআরইউ