সুবর্ণচরে টানা ৩ মাস বিদ্যুৎ বিভ্রাট: কর্তৃপক্ষ বলছে—সমাধানে সময় লাগবে

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম
সুবর্ণচরে টানা ৩ মাস বিদ্যুৎ বিভ্রাট: কর্তৃপক্ষ বলছে—সমাধানে সময় লাগবে

সরকার পতনের পর থেকে সুবর্ণচরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। তবে গত তিনমাস ধরে এর মাত্রা ক্রমান্বয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকলেও বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে ঠিকই গুনতে হচ্ছে গতানুগতিক বিল।

ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক মহল বারবার এ বিষয়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও সাড়া না দেয়া এবং অভিযোগ নাম্বারে কল দিলে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে সুবর্ণচর উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগের ওপর। বৈদ্যুতিক কর্মকর্তার অপসারণও দাবি করেছেন অনেকে।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক ও সুবর্ণচর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বাবলুর সাথে।

তিনি জানান, সুবর্ণচর উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগ ইচ্ছে করেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটানোর জন্য গাছ-গাছালির মধ্যে দিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানে। পরে বর্ষাকালীন সময়ে ঘূর্ণিঝড়, গরমের সময় বিদ্যুতের সংকট ও চলমান শীতকালে গাছ কাটার কথা বলে বিদ্যুৎ থেকে সুবর্ণচরবাসীকে বঞ্চিত করছে।

তিনি আরও জানান, সুবর্ণচরে জনসংখ্যার আলোকে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও ৬-৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে সুবর্ণচরবাসী। যা চাহিদার তুলনায় কম।

মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. আফজাল হোসেন বলেন, সুবর্ণচরে ৩ হাজার ৮শত কিলোমিটার বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। যার অধিকাংই গাছের মধ্যে দিয়ে গেছে। গাছের ডালপালা কাটার কাজ চলমান থাকায় দিনের বেলা বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সংকট নিরসনে মাত্র ১ হাজার ২শত কিলোমিটার পথ ঢালপালা পরিষ্কার করা হয়েছে। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হতে আরও প্রচুর সময় লাগবে বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

পরে একাধিকবার কল করা হলেও সরাসরি দেখা করার কথা বলে ফোন কেটে দেন এ কর্মকর্তা।

ইএইচ