যশোরের অভয়নগর উপজেলায় সরিষার বিশাল আবাদ হয়েছে। হলুদে হলুদে ছেয়ে গেছে চারিদিকে। হিমেল হাওয়ায় সরিষা ফুলের এলোমেলো দোলা চালে জুড়িয়ে যাচ্ছে প্রাণ। সরিষা ফুলের এমন সমারোহে খুশি কৃষক ও সরিষা থেকে মধু আহরণ করা মৌয়ালরা। বাড়তি উপার্জনে স্বপ্নে বিভোর তারা। সহযোগিতা দিয়ে পাশে দাড়িয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে বারী সরিষা ৯, ১১, ১৪ ও ১৮ এবং বিনা সরিষা ৪ ও ৯ সহ বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ,অভয়নগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে সরিষার আবাদ হয়েছে। মাঠের পর মাঠ দেখা মিলছে এমন হলুদের সরিষা। এখানকার সরিষা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়। এ বছর সরিষার আবাদ বাড়ায় ও আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক।
উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের কৃষক তরিকুল বলেন, এ বছর আমরা প্রচুর পরিমাণের সরিষা আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন পাবো।
উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামের কৃষক মুক্তার শেখ বলেন, সরিষা চাষে রোপণ থেকে শুরু করে পরবর্তীতে বাড়তি তেমন কোন খরচ নেই। শুধু জমিতে সার প্রয়োগ করতে হয়। এতে বাড়তি কোন সেচ দিতে হয় না, যার ফলে সরিষা চাষে আমরা কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছি।
সরিষার আবাদের সাথে জড়িত কৃষকের পাশাপাশি সরিষা থেকে মধু আহরণ করা মৌয়াল শামীম হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সরিষার খেত থেকে অনেক বেশি মধু পাওয়ার আশা করছেন এই মৌয়াল।
অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, এ বছর অভয়নগরে ২ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। আমরা আশা করছি যে পরিমাণ সরিষা এই অর্থ বছরে আবাদ হয়েছে , তাতে করে তিন বছরের মধ্যে তেল ফসলের উৎপাদনে যে টার্গেট ছিল সেটা আমরা অর্জনে সক্ষম হবো। পাশাপাশি আমাদের কৃষকরা সরিষা খেতে মৌ বস্ক স্থাপন করেছে। প্রতিটি মৌ বস্ক থেকে বছরে ৫০ কেজি করে মধু আহরণ করা সম্ভব হবে।
বিআরইউ