‘আমার দেশ, আমার নদী আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে’

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
‘আমার দেশ, আমার নদী আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে’

হালদা বাংলাদেশের একটি বিশেষ নদী। মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হিসেবে হালদা নদীর বিশেষ মহত্ত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের জলবায়ু কৃষি চাষের উপর যেমন উপযোগী তেমনি মৎস্য চাষের জন্য উপযোগী। দেশে তেল ও গ্যাস সম্পদ শেষ হতে পারে কিন্তু মৎস্য সম্পদ শেষ হবেনা।

তিনি বলেন, আমার দেশ, আমার নদী আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। তাই মৎস্য সম্পদকে সুরক্ষায় রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক সহ আমাদের সবাইকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে কাপ্তাই উপজেলা সম্মেলন কক্ষ কিন্নরীতে অনুষ্ঠিত হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অংশীজনদের উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

মৎস্য অধিদপ্তর এর হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর অর্থায়নে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ। এসময় কাপ্তাই উপজেলা মৎস্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ মো. এরশাদ বিন শহীদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা মৎস্য অফিসার অধীর চন্দ্র দাশ, প্রকল্প পরিচালক মুহম্মদ মিজানুর রহমান, কাপ্তাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বরূপ মুহুরী, কাপ্তাই থানার ওসি মো. মাসুদ, কাপ্তাই উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মো. দিলদার হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এনামুল হক হাজারি, কাপ্তাই যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি সভাপতি মোঃ লোকমান আহামেদ, কাপ্তাই হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি থোয়াই অং মারমা, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত মৎস্যজীবীরা তাদের বিভিন্ন বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

প্রসঙ্গত, সেমিনারে বক্তারা হালদা নদীর সাথে সংযুক্ত ১৭টি খাল এবং চারটি নদী যথাক্রমে কর্ণফুলী, শিকলবাহা, চাঁদখালী এবং সাঙ্গু নদীতে প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকার বন্ধে প্রশাসনের ভূমিকা কামনা করেন।

বিআরইউ