বরিশালে গত দুদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। মেঘলা আকাশ ও ঘনকুয়াশায় শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। ফলে মেঘলা আকাশ এবং ঘনকুয়াশায় শীতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগামী ২-৩ দিনে বরিশাল অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে বুধবার দুপুরের পর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন কেটে গেলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের কোন দেখা মেলেনি। ফলে সকাল থেকেই ভোগান্তির চিত্র ফুটে ওঠে জনজীবনে।
ঘনকুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। অতি পপ্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে দেখা যায়নি মানুষদের। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে আসে অস্থিরতা।
তবে দুপুরের পর ভিড় দেখা যায় ফুটপাতের গরম পোশাকের দোকানে।
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় জানিয়েছেন, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭ কিলোমিটার। আর চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে নৌ ও সড়ক পথে যান চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে সকাল থেকেই ভোগান্তির চিত্র ফুটে ওঠে জনজীবনে। ভোগান্তিতে পরেছে কর্মস্থলে যাওয়া ও খেটে খাওয়া মানুষ। এরপরও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেও নেমেছেন কাজে।
আবহাওয়ার এ অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের বিশেষ সতর্কতার সাথে রাখতে ও থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই বরিশালে ঠান্ডার দাপট বাড়তে শুরু করে। অপরদিকে, আকাশ মেঘলা ও ঘনকুয়াশার কারণে বিমান ও সড়ক পথেও কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।
এদিকে, শীতে শিশু এবং বয়স্ক মানুষের বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বরিশালে শীতের তীব্রতায় হাসপাতালে বেড়েছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের রোগীদের স্যংখা।
ইএইচ