সরকার পতনের পরই যুবলীগের জুয়েল হন আন্দোলনকারী

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
সরকার পতনের পরই যুবলীগের জুয়েল হন আন্দোলনকারী

রাজধানীর বিজয় সরণিতে গত ১৮ জুলাই আহত হন বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের যুবক যুবলীগ কর্মী জুয়েল শেখ। এ কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকার পতনের পর বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। 

এখন তার বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বরিশাল নগরের হাতেম আলী কলেজ চৌমাথায় গত ৪ আগস্ট আন্দোলনে অংশ নিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন জুয়েল- এমন দাবি করে মামলা করেছেন তাঁর ভগ্নিপতি শামীম আহমেদ। এতে আসামি করা হয়েছে জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের প্রতিপক্ষকে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য জুয়েল ও শামীম এখন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা চাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুয়েল শেখ মেহেন্দী গল্পের আব্দুল জব্বার শেখের ছেলে। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ড. শাম্মী আহমেদের অনুসারী তিনি। শাম্মির পক্ষে রাজধানীতে বৈষম্য- বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নিয়ে সংঘর্ষে আহত হন। তখন ঢাকার হাসপাতালে নিয়েছেন চিকিৎসা। 

তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং আর্থিক সহায়তা দেন। সরকার পতনের পর তিনি আন্দোলনকারী হয়ে যান। জামায়াত ও বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ অর্থ সহায়তা নেন। উল্লিখিত তথ্যের প্রমাণ আমার সংবাদের কাছে রয়েছে। মামলার আসামি এহসানুল ইসলাম ঈসাদ বলেন, পারিবারিক শত্রুতাকে  কেন্দ্র করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে জুয়েল। পুরো ঘটনা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করলে রহস্য উদ্ঘাটন হবে। 

ঈসাদের বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ জানান, তাদের একটি দোকানঘর ছিল। দোকানটি দূর সম্পর্কের আত্মীয় শামীমকে ব্যবহারের জন্য দেন। ভাড়ার টাকা না দিয়ে দোকানটি অন্য লোকদের কাছে ভাড়া দিয়ে দেয় শামীম। এ নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বাধে। জুয়েল শেখ জানান, ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল না। 

দুলাভাই শামীম আহমেদের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শামীম তার দূর সম্পর্কের দুলাভাই। তাঁর দেওয়া মামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল খানার উপপরিদর্শক আ. মান্নান বলেন, ‍‍`মিথ্যা মামলার অভিযোগ তিনি শুনেছেন। মামলাটির তদন্ত চলছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মিথ্যা মামলা হয়ে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

আরএস