নেত্রকোনার কলমাকান্দায় একটি বাড়ীতে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে । এতে নারীসহ চারজন আহত হন। চোরেরা ওই বাড়ি থেকে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা ও একটি এন্ড্রোয়েড মোবাইল চুরি করে নিয়ে গেছে।
কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে এ দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে।
এবিষয়ে শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী মো. নূর ইসলাম ফকির বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে দিকে ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোসাঃ হাওয়া বেগম ফজরের নামাজ আদায়েে জন্য অযু করার জন্য বাহিরে বের হন। ওই ঘরে মা হাওয়ার সাথে নবজাতক শিশু সন্তান নিয়ে রেখা আক্তার ও রিমা আক্তার ঘুমাচ্ছালেন। এ সময় সুকৌশলে চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে। পরে অনুমান ৫ টার দিকে ঘরে ভিতরে শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায় রেখা আক্তার ও রিমা আক্তারের। তখন তারা দেখতে পান ঘরে ভিতরে চোরেরা ঢুকেছে। এসময় তার চোর চোর বলে ডাক চিৎকার শুরু করেন। এসময় মা হাওয়া , বাবা নুরুল ইসলাম , ভাই নূর আলম ছুটে আসলে চোরেরা তাদেরকে মারপিট করে ঘরে থাকা চাউলের ড্রামে সংরক্ষণ থাকা নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যাগসহ একটি এন্ড্রোয়েড মোবাইল চুরি করে নিয়ে গেছে। এসময় নারীসহ চারজন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে চারজনের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ভুক্তভোগী মো. নূর ইসলাম ফকির জানান, আমি ও আমার ছেলে মোঃ নুর আলম বাড়ির বাংলা ঘরে ঘুমায়। ভোরে ডাক চিৎকার শুনে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভেঙে যায়। ঘরে গিয়ে দেখি এলাকার চিহ্নিত চোর মো.নুরে আলমসহ চোরেরা আমার সংরক্ষিত পাঁচ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগসহ একটি মোবাইল ফোন নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এসময় আমরা বাধা দিলে চোরেরা সংঘবদ্ধ হয়ে সদ্য প্রসুতি মেয়েকেসহ আমাদের মারপিট করে তারা দ্রুত পালিয়ে গেছে। আমরা তাদেরকে চিনতে পেরেছি। আমি বাদী হয়ে তাদের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আশা করছি আমরা ন্যায় বিচার পাবো।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার দুপুরে থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবু হানিফাসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরএস