টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইরি-বুরো মৌসুমের শুরুতেই গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরির হিড়িক পড়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো সেচপাম্প এলাকার (গভীর নলকূপের) জন্য স্থাপিত ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এতে সেচপাম্প এলাকার কৃষকদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী ও পিডিবি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, সখীপুর পিডিবির কুচুয়া ও বড়চওনা ফিডারের আওতায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র গত এক সপ্তাহে অন্তত পক্ষে ১৪/১৫ টি গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমারের লোপ তারসহ অন্যান্য মূলবান বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে গেছে। ফলে ওইসব গভীর নলকূপ এলাকায় বিদ্যুৎহীন হয়ে জনভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। গভীর নলকূপের মালিক-ম্যানেজাররাও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড়চওনা ফিডারের সাড়াশিয়া ও ছোটচওনা এলাকায়, কচুয়া ফিডারের আড়াইপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেন ও শামসুল হক, একই ফিডারের রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল কাদেরের গভীর নলকূপে সোমবার গভীর রাতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি হয়। এ অবস্থায় উদ্বেগাকুল কৃষকরা চুরি রোধে অনেক এলাকায় রাতে পাহারা দিচ্ছেন ট্রান্সফরমার।
ট্রান্সফরমার ও এর যন্ত্রাংশ চুরি চক্রের আতঙ্ক এখন উপজেলাজুড়েই কৃষকদের মাঝে বিরাজ করছে। পিডিবির ফিডারের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান, সংঘবদ্ধ চোর চক্র গভীর নলকূপের জন্য স্থাপিত ট্রান্সফরমারের লোপ তার চুরি করে কারণ, ওইখানে গভীর রাতে মানুষজন থাকে না। আর লোপ তারটি হচ্ছে অনেক দামি, এ তারগুলোর ভেতরের অংশ তামার, উপরের কভার পুড়ে ফেলে তামাগুলো বিক্রি করে চোর চক্র।
এ প্রসঙ্গে সখীপুর পিডিবিথর (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবকর তালুকদার বলেন, আমিও বিভিন্ন এলাকায় ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরির খবর পাচ্ছি। চুরি যাওয়া এলাকার ট্রান্সফরমার সার্বিক উপকরণ দিয়ে সচল করে দিচ্ছি। চুরির বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। এছাড়াও এলাকাবাসীকে সচেতন করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। কেউ চোর ধরিয়ে দিতে পারলে তাকে পুরষ্কৃত করা হবে।
বিআরইউ