গড়াই নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
গড়াই নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গড়াই নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে নদী পাড়ের মানুষগুলো রয়েছে হুমকির মুখে।

বালু উত্তোলন করে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্তূপ করে রাখায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের গত দুমাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ, ভিটা ছাড়া কোন জমিজমা নেই। যেভাবে বালু তোলা হচ্ছে। তাতে নদী ভাঙন বাড়বে। এমন একটি জায়গায় বালু উত্তোলন করছে, যেখানে ঘনবসতি মানুষের বাস। একটু রোদ্দুর হলেই এ বালুগুলো খাবারের মধ্যে পড়ে। আমাদের বাচ্চাদের শ্বাস-প্রশ্বাসেরসহ নানাবিধ সমস্যা হচ্ছে।

তারা বলেন, সরকার বালু উত্তোলন বন্ধের পদক্ষেপ নিলে আমাদের জন্য ভালো হতো। কিন্তু প্রভাব দেখিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

নারুয়া খেয়া ঘাটের নিকট ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত ড্রেজার চালক বলেন, দিনে ৮-১০ হাজার ফুট বালু তোলা যায়। তবে মাঝে মধ্যে বন্ধ রাখতে হয়। লোক জন আসে এ জন্য। আমাদের উঠাতে বলছে, তাই উঠাচ্ছি। বন্ধ করলে চলে যাবো।

এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী হুসাইন শেখকে না পেয়ে তার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি।  

নারুয়া ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জিহাদ বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। বালু উত্তোলনের কোন অনুমতি নেই। তিনি ঘোষিয়াল থেকে বালু নিয়ে এসে এখান থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। তবে যেখানে বালু উত্তোলন করছেন আশপাশের গ্রামবাসী অভিযোগ করেন। আমাদের এখানে কোন বালু মহল নেই। এ ধরনের অনুমতি আমরা কখনোই দেই না।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ