লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মাদ্রাসার পরিচালক মাও হুমায়ুন কবির ও শিক্ষক নুরনবীকে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠেছে।
বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কালামকে প্রধান আসামি করা হয়। ওই মামলায় ওই এলাকা থেকে মামলার আরেক আসামি মো. রাসেল (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের নেতৃত্বে চৌরাস্তা মার্কেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত মাওলানা হুমায়ুন কবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাজহারুল ইসলাম মাসুদের ভাই এবং ওই এলাকার দারুল আরকাম কওমী মাদ্রাসা পরিচালক।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন মাওলানা হুমায়ুন কবির বলেন, তার মাদ্রাসার এক ছাত্র বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার সামনে রাসেলের দোকানে পুরি কিনতে যায়। ওই সময় রাসেল তার দোকানের পুরি চুরি করে খেয়েছে মর্মে ওই ছাত্রকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় দোকানদার রাসেলকে জিজ্ঞেস করতে গেলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর মধ্যে বিএনপি নেতা আবুল কালাম তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে আমাকে দোকানের ভিতর আটকে রেখে চোখ খুলে ফেলবে বলে কালাম ধামকি হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ কল করলে পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় (আজ) বুধবার সকালে মাদ্রাসা পরিচালক হুমায়ুন কবির বিএনপি নেতা আবুল কালাম প্রধান করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলা রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার আলোকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিআরইউ